ইহার বিষয় উৎকীর্ণ অাছে । শিলালিপির অধিকাংশই অস্পষ্ট ; মধ্যবর্তী অংশ পাঠ করিতে সক্ষম হওয়া যায় ম। ইহার যে সমস্ত অংশ বোধগম্য তাহ নিয়ে প্রদত্ত হইল । - “—শৌৰ্য্যায। রঘুনায়কস্ত মহতো গাম্ভীৰ্য্যমন্তে। নিধেস্ত্যাগ’ল মহ । সৌন্দৰ্য্যংকুহুমাযুদ্ধস্য পরমং লগোবিন্দ ম কুষ্ণ শ্ৰীশ্ৰীগোবিন্দদেবস্ত্রিপুরনরপতি গণ্য । তৎপত্নী পুণ্যশীলা সুমতী গুণবতী বিষ্ণবে স বরেণ্য। শাকে গাঙ্গেযুচন্দ্রে মঠমতুলমমুং মাধবেহুদাদষু গদেী । শকাব্দাঃ ১৫৯০ ” উক্ত শিলালিপির নিম্নাংশ হইতে এইরূপ অবগত হওয়া যায় গুণবতী নাম্নী, ত্রিপুরেশ গোবিন্দ মাণিক্যের ধৰ্ম্মপরায়ণ মহিষী-কর্তৃক বর্ণিত মন্দির নিৰ্ম্মিত হইয়। ১৫৯০ শকাব্দের বৈশাখ মাসের যুগাষ্ঠ দিবসে বিষ্ণুর উদ্দেশে উংস্কষ্ট হইয়াছিল । জগন্নাথের দোল বৃক্ষলতাদিতে পরিকীর্ণ যে একটা মন্দির “জগন্নাথ দিঘী" বা"পুরান দিঘীর পশ্চিম-দক্ষিণ কোণে সংস্থাপিত, উহ। “জগন্নাথের দোল" নামে প্রসিদ্ধি লাভ করিয়া থাকে । মন্দিরট প্রস্তর-নিৰ্ম্মিত এবং একদা তদগাত্রে নানাবিধ দেব দেবীর প্রতিমূৰ্বি অঙ্কিত ছিল বলিয়। কথিত আছে । কিন্তু ইদানীং তৎসমুদ্ৰয়ের কোন চিহ্নও পরিলক্ষিত হয় না । যে প্রস্তর নিৰ্ম্মিত প্রাচীরের দ্বার। মন্দিরটা পরিবেষ্টিত ছিল, অধুনা তাহার ভগ্নাবশেষ মাত্র বর্তমান রহিয়াছে প্রাচীরট নূ্যনাতিরেক পাচ হস্ত আয়তনের প্রস্তর খণ্ডে নিৰ্ম্মিত এবং মন্দিরের প্রস্তর নিচয় ও প্রায় তদনুরূপ । ঐ বর্ণিত মন্দির মধ্যে একদা জগন্নাথ মূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠিত ছিল—এবভূত সংস্কার বশতঃ কোন কোন ব্যক্তি ইহাকে জগন্নাথের মন্দির বলিয়া অভিহিত করে । কিন্তু ত্রিপুরার স্মৃতি (xළු
পাতা:ত্রিপুরার স্মৃতি.djvu/৬৩
অবয়ব