পাতা:ত্রিপুরার স্মৃতি.djvu/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হীরাপুর উদয়পুর-রাজপ্রাসাদের পঞ্চদিকে নৃনাতিরেক ৪ মাইল দূরে—“হীরাপুর” নামক যে জনপদ অবস্থিত, তথায় ত্রিপুরেশ বিজয় মণিক্যের মহিষী “লক্ষ্মী দেবী” নিৰ্ব্বাসিত হইয়াছিলেন বলিয়া কথিত আছে । ঘটনাটী নিম্নে বিবৃত হইল । খৃষ্টীয় ষোড়শ শতাব্দীতে ত্রিপুররাজ্যের পরাক্রান্ত সেনাপতি “দৈত্যনারায়ণ” DBBB BBBBBS BKB BBB SBBB BBBSBB BBBBB BBBB BBB BBB রাজ্যশাসন করিতে প্রবৃত্ত হন । তিনি স্বীয় ক্ষমতা-প্রভাবে এরূপ গব্বৰ্ণম্বিত হইয়া উঠিলেন যে, বালক রাজাকে ক্রীড়ার পুত্তলীর ন্যায় ব্যবহার করিতে লাগিলেন । রাজভাণ্ডারের দ্রব্যনিচয়ে তদীয় আলয় পূর্ণ হইতে লাগিল । অধিকন্তু রাজ্যসংক্রাস্ত সমস্ত কার্য্য তাহার বাসভবনে সংসাধিত হু ওয়াতে বাজপ্রাসাদ নির্জন ও শূন্ত হইয় পড়িল । এই সমুদয় কারণ বশত: ত্রিপুরাধিপতি বিজয় মাণিক্য প্রজাসাধারণের নিকট ঈীনগৌরব হইতে লাগিলেন । বিজয় মাণিক্য ক্রমে ষোড়শ বর্ষে পদার্পণ করিলেন । জ্ঞানোৰ্ম্মেষের সহিত শ্বশুরের এবংবিধ অসঙ্গত প্রভুত্ব তদীয় হৃদয়ঙ্গম হইতে লাগিল । ফলতঃ বয়োরদ্ধিব সহিত দৈত্যনারায়ণুের অসদ্ব্যবহার সহ কর। তাছার পক্ষে দুষ্কর হইয়। উঠিল । ক্রমে বিজয় মাণিক্যের ধৈর্য্য যখন শেষ সীমায় উপনীত হইল, তখন এই উপদ্রব হইতে কি প্রকারে নিস্কৃতি লাভ করিতে পরিবেন তৎসম্বন্ধে তিনি নান উপায় চিন্তা করিতে লাগিলেন । অনেক অনুধাবনার পর বুঝিলেন–দৈত্যনারায়ণের প্রাণ বিনাশ ব্যতিরেকে তদীয় মুক্তিলাভের উপায়ান্তর লাই । অতএব স্বীয় পদমর্যাদা রক্ষা এবং রাজ্যের মুশাসনের জন্য অনন্তউপায় হইয়া মাধব নামক দৈত্যনারায়ণের জ্যেষ্ঠ জামাতাকে নানাবিধ প্রলোভনের দ্বারা বশীভূত করিয়া এই কাৰ্য্য সাধনের জন্য নিযুক্ত করিতে চেষ্টান্বিত হন । কিন্তু মাধব স্বীকৃত হইল না ; সে কহিল "দৈত্যনারায়ণের কন্যা তোমার মহারাণী । এ কথা শুনিলে আমার বধিবে পরাণী ॥