পাতা:ত্রিসন্ধি-অজিত কুমার চক্রবর্ত্তী.djvu/১০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

^J9 ত্রিসন্ধি । চিন্তামগ্ন হইয়া রহিলেন । শত্ৰগণ যখন সজোরে আঘাত্ত করিল, তখন কেবল একবার উচ্চৈঃস্বরে বলিয়া উঠিলেন, “সাবধান ! আমার অঙ্কপাত যেন মুছিয়া যায় না ।” রাজ-পুরোহিত। রাজপুতানার অন্তর্গত চিতোরের মহারাণা প্রতাপসিংহ শৌর্য্য, বীৰ্য্য, ও রণ-পরাক্রমে রাজপুত রাণাগণের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ স্থান অধিকার করিয়াছিলেন। র্তাহার কনিষ্ঠ ভ্রাতা শক্তসিংহ একজন সাহসী যোদ্ধা ছিলেন । র্তাহার বাল্য বয়সের সাহস ও বীরত্ব দেখিয়া প্রবীণ রাজপুত বীরগণও বিস্মিত হইয়াছিলেন । একদা চিতোরের মহারাণা উদয়সিংহের রাজ-সভাতে একজন অস্ত্র-বিক্রেতা একখানি তীক্ষুধার ছুরিকা বিক্রয়ার্থ উপস্থিত করিল। রাজা, ছুরিকার তীক্ষতা পরীক্ষা করিবার জন্য জনৈক কৰ্ম্মচারীকে আদেশ করিলেন। পঞ্চমবর্ষীয় বালক শক্তসিংহ তখন রাজসভাতে উপস্থিত ছিলেন । তিনি হঠাৎ অস্ত্র-বিক্রেতার হস্ত হইতে ছুরিকা লইয়া রাজাকে কহিলেন, “পিতঃ, আমি পরীক্ষা করিয়া দেখিতেছি।” এই বলিয়াই তৎক্ষণাৎ সেই তীক্ষুধার ছুরিকা স্বীয়বাহুতে বিদ্ধ করিলেন । তাহার বাহু হইতে রক্তস্রোত বহিতে লাগিল। কুমারের পরিধেয় বস্ত্র শোণিতে