পাতা:ত্রিসন্ধি-অজিত কুমার চক্রবর্ত্তী.djvu/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
ত্রিসদ্ধি।

সুলতান মাহমুদের তখন বিবাদ ঘটায় মাহমুদ তাঁহার অধিকাংশ রাজ্য অধিকার করিয়া অবশেষে তাঁহাকে এই মর্ম্মে একখানি পত্র প্রেরণ করেন :–

কোয়ার্জম-শাহের অধীনে অমুক অমুক পণ্ডিত ব্যক্তি আছেন, আমি এরূপ শ্রুত হইয়াছি। তাঁহাদিগকে অবিলম্বে আপনি আমার রাজধানীতে প্রেরণ করিবেন। তাঁহাদিগের বিদ্যা ও বুদ্ধিদ্বারা লাভবান হইব, আমাদের এইরূপ বাসনা। সুতরাং আপনার নিকট এবিষয়ে আনুকূল্য ভিক্ষা করিতেছি।

মমুন পত্র পাইয়া বুঝিলেন যে, এ পত্র অনুনয়-পত্র নহে, ইহা আদেশ-পত্র। তৎক্ষণাৎ তাঁহার পণ্ডিতমণ্ডলীকে আহ্বান করিয়া তিনি কহিলেন, “সুলতান মাহমুদের ক্ষমতা যথেষ্ট। তাঁহার শক্তি নিতান্ত সামান্য নহে। তাঁহার আদেশ অমান্য করিবার সামর্থ্য আমার নাই। সুতরাং, এ সম্বন্ধে আপনার কি বলেন?” অল্‌বিরুনি এবং অন্যান্য দুই চারিজন পণ্ডিত যাইতে স্বীকৃত হইলেন, কিন্তু বিজ্ঞান-পারদর্শী আবিসেনা ও দার্শনিক পণ্ডিত মসিহি যাইতে অনিচ্ছা প্রকাশ করিলেন। সুতরাং তাহারা মমুনের আশ্রয় ত্যাগ করিয়া অন্যত্র পলায়ন করাই সঙ্গত বিবেচনা করিলেন। পথিমধ্যে মরুভূমে প্রচণ্ড ঝটিকায় উত্তপ্ত বালুকাঘাতে মসিহি প্রাণত্যাগ করেন। আবিসেনা বহু কষ্টে গুরগান নামক এক নূতন রাজ্যে উপস্থিত হইয়া তথাকার অধিপতির আশ্রয় গ্রহণ করিলেন। কিন্তু সুলতান মাহমুদ সহজে ছাড়িবার পাত্র ছিলেন না। তিনি তাঁহার প্রতিকৃতি{{indent/e}