পাতা:ত্রিসন্ধি-অজিত কুমার চক্রবর্ত্তী.djvu/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
ত্রিসন্ধি

ত্রিসন্ধি । 4 র্তাহাদের অনধিগত পারস্য পুরাণ কহিয়া গেলেন–র্তাহার ফৰ্দ্দসীর আশ্চৰ্য্য পাণ্ডিত্য দর্শনে নিতান্ত বিস্মিত হইলেন। তিনি রাজকবিগণ মধ্যে সম্মানাহঁ স্থান লাভ করিলেন। সুলতান মাহমুদ তাহাকে প্রচুর অর্থে পুরস্কৃত করিবেন, এই প্রতিশ্রুতি লাভ করিয়া ফৰ্দ্দ সি “শাহ নামা” নামক স্ববিখ্যাত মহাকাব্যে পারস্য রাজ-বংশাবলীর ইতিবৃত্ত-কথা বর্ণনা করিতে আরস্ত করিলেন। মহাকাব্য সমাপ্ত হইলে সুলতান প্রতিশ্রত অর্থের অৰ্দ্ধেকেরও অল্প পরিমাণ অর্থ তাহাকে প্রেরণ করিলেন। ফর্দ সি মৰ্ম্মাহত হইয়া স্বানালয়ে গমন করিলেন এবং স্বান হইতে প্রত্যাগমন কালে সরবৎ ক্রয় করিলেন । তৎপরে সেই সমস্ত অর্থ অবহেলায় স্নানাগারের অধ্যক্ষ ও সরবৎ-বিক্রেতার মধ্যে ভাগ করিয়া বিতরণ করিলেন। সুলতানের বিরাগভাজন হইবেন বলিয়া তিনি রাত্রিযোগে গজনি ত্যাগ করিয়া হিরাটে উপস্থিত হইলেন এবং তথায় এক পুস্তকালয়ে ছয়মাস কাল লুকায়িত রহিলেন। তৎপরে সেই স্থান হইতে অন্যত্র এক রাজার আশ্রয়ে গিয়া মাহমুদের সম্বন্ধে এক স্বতীব্র ব্যঙ্গপূর্ণ কাব্য রচনা করিলেন। সেই রাজা তাহাকে লক্ষ মুদ্র দিয়া সেই ব্যঙ্গকাব্যখানি ক্রয় করিলেন এবং সুলতান মাহমুদের ভয়ে তাহ বিনষ্ট করিলেন। ফর্দ সিকে তিনি বুঝাইলেন যে, স্বলতান মাহমুদ গুণগ্রাহী ; তিনি তাহার কৃতিত্বের সম্মান নিশ্চয় প্রদান করিবেন এবং যথোপযুক্ত ভাবে তাহাকে পুরস্কৃত করিবেন। কারণ, তাহার মহাকাব্যের সমতুল্য কাব্য জগতে নাই। -