পাতা:ত্রিসন্ধি-অজিত কুমার চক্রবর্ত্তী.djvu/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
১৩
ত্রিসন্ধি
১৩

ত্রিসন্ধি । - סל করা মহাপাপ । ভীত, অনন্তগতি, দুর্বল ও শরণাগত ব্যক্তিগণকে আমি সৰ্ব্বদা প্রাণপণে রক্ষা করিয়া থাকি । অতএব আত্মমুখের জন্য ও স্বৰ্গভোগের আশায়, আমি এই আশ্রিত প্রাণীকে পরিত্যাগ করিয়া মহাপাপ করিতে পারি না। অমররাজ ! আমার বিবেচনায়, আশ্রিত জনকে পরিত্যাগ, শরণাগত ব্যক্তিকে ভয়প্রদর্শন, স্ত্রীহত্য, পরস্বীপহরণ এবং মিত্রদ্রোহ, এই কয়েকটি কাৰ্য্যই মহাপাপ । অতএব অমররাজ ! আপনি আমাকে বৃথা অনুরোধ করিবেন না। কুকুরের জন্য যদি আমাকে নরকভোগ করিতে হয়, তাহাও আমি শ্রেয়স্কর বলিয়া মনে করি ; কিন্তু ইহাকে পরিত্যাগ করিয়া স্বৰ্গসুখেও আমার বাসনা নাই।” ধৰ্ম্মপরায়ণ যুধিষ্ঠিরের এইরূপ দৃঢ়তা, কৰ্ত্তব্যনিষ্ঠ, নিঃস্বার্থ ভাব ও আশ্রিত জনের প্রতি প্রেমের পরিচয় পাইয়া, স্বয়ং ধৰ্ম্ম যুধিষ্ঠিরের নিকট প্রকাশিত হইয়া মধুর বচনে তাহাকে বলিলেন, “বৎস ! তোমাকে পরীক্ষা করিবার জন্যই আমি এই কুকুর রূপে তোমার সঙ্গে আসিয়াছিলাম। পূর্বে দ্বৈতবনে আমি তোমাকে একবার পরীক্ষা করিয়াছিলাম। স্মরণ আছে কি, তোমার ভ্রাতৃগণ জল অন্বেষণার্থে গমন করিয়া জীবন হারাইলে, তুমি সহোদর ভীম ও অৰ্জ্জুনের জীবন প্রার্থনা না করিয়া, নকুলের জীবনই প্রার্থনা করিয়াছিলে। এখনও এই কুকুরকে আশ্রিত জ্ঞান করিয়া স্বৰ্গসুখ পরিত্যাগ করিতেও বিমুখ হইলে না। আত্মমুখ বিসর্জন করিয়া যাহারা এইরূপে অপরের স্বখান্বেষণ করে, আপনার সম্পদ বিপদের দিকে দৃষ্টি না