পাতা:ত্রিসন্ধি-অজিত কুমার চক্রবর্ত্তী.djvu/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

સ8 - ত্রিসন্ধি । আফ্রিকা ঘুরিয়া যাইতে হইত বলিয়া ইংলণ্ডে যাইতে তখন এরূপ সুদীর্ঘ সময় লাগিত। “ লিভারপুলে অনেক সন্ত্রান্ত ইংরাজ পুরুষ ও মহিলা তাহার সম্বৰ্দ্ধনা করিলেন। লিভারপুল হইতে লণ্ডনে পেছিবামাত্র স্বপ্রসিদ্ধ ইংরাজ দার্শনিক জেরেমি বেনথাম র্তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিতে আসিলেন এবং তাহার অদ্ভূত পাণ্ডিত্য ও মধুর প্রকৃতি দেখিয়া প্রীত ও বিস্মিত হইলেন। প্রতিদিন বহু সন্ত্রান্ত ও সম্মানিত ব্যক্তি র্তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিতে আসিতে আরম্ভ করিলেন। ইংলণ্ডাধিপতি স্বয়ং তাহার প্রতি অনুগ্রহপ্রদর্শন পূর্বক তাহাকে দর্শনদিয়াছিলেন। রামমোহন রায়ের সম্মানার্থ লণ্ডনে প্রকাশ্য সভা হইয়াছিল ও তাহাতে র্তাহার ইংরাজ বন্ধুগণ র্তাহার প্রতিভ, জীবনচরিত ও কাৰ্য্যাবলী সম্বন্ধে শ্রদ্ধার সহিত আলোচনা করিয়াছিলেন । ইংলণ্ডের কৰ্ম্ম সমাপ্ত করিয়া রামমোহন রায় ফ্রান্সে গমন করেন। ফরাসী রাজা লুই ফিলিপ্‌ ৰ্তাহাকে সম্মানের সহিত অভ্যর্থনা করিয়াছিলেন । তিনি তাহাকে নিমন্ত্রণ করিয়া তাহার সহিত একত্র ভোজন করিয়াছিলেন । ফরাসীদেশেও এইরূপে তিনি যথেষ্ট সম্মান লাভ করিলেন। ১৮৩৩ খৃষ্টাব্দের প্রারস্তে তিনি পুনরায় ইংলণ্ডে প্রত্যাবৰ্ত্তন করিলেন। কিছুকাল লণ্ডনে অবস্থিতি করিয়া অবশেষে রামমোহন ব্রিষ্টলে গমন করিলেন । তথায় জুরাক্রান্ত হইয়া জ্বর-বিকারে ২৭এ সেপ্টেম্বর ১৮৩৩ খৃষ্টাব্দে এই মহাপুরুষ প্রাণত্যাগ করিলেন ।