পাতা:ত্রিসন্ধি-অজিত কুমার চক্রবর্ত্তী.djvu/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ર૭ ক্রিসন্ধি । নিরুদ্বিগ্ন থাকে না । সৰ্ব্বদাই তাহার মনে এই আশঙ্কা জাগরূক থাকে যে, অমুক ব্যক্তিকে যে কৰ্ম্মের ভার প্রদত্ত হইয়াছে, সে কৰ্ম্ম কদাচ সুসম্পন্ন হইবে না । ভাবিয়া দেখ, এই একটি গুণের অভাবে লোকসমাজে সেই ব্যক্তির কিরূপ লাঞ্ছনা! তাহার হয়ত বিদ্যাবুদ্ধি অপর দশজনের অপেক্ষা অধিক, তাহার চরিত্রে হয়ত ঔদার্য্য ও মহত্ত্ব যথেষ্ট পরিমাণে বিদ্যমান, কিন্তু একটি গুণ না থাকায়, তাহার সমস্ত জীবন একেবারেই ব্যর্থ হইয়া যায়। দুগ্ধে এক বিন্দু অম্নরস সংযুক্ত হইলে যেরূপ সমস্ত দুগ্ধই নষ্ট হইয়া যায়, সেইরূপ মানবের চরিত্রে যদি কৰ্ত্তব্যনিষ্ঠ না থাকে তাহ হইলে তাহার অপরাপর সকল গুণ থাকা সত্ত্বেও তাহার চরিত্র তাদৃশ শ্রদ্ধা আকৃষ্ট করিতে সমর্থ হয় না। বালক-বয়সে, বিদ্যা অর্জনের কালে, যাহাতে কৰ্ত্তব্য পালনে কোন শৈথিল্য না ঘটে, তৎপ্রতি সকল ছাত্রের বিশেষ দৃষ্টি রাখা আবশ্বক। পূর্বকালে ছাত্রগণকে যখন গুরুগৃহে ব্ৰহ্মচৰ্য্য পালন করিতে হইত, তখন কঠোর নিয়মে তাহাদিগের সকল অভ্যাসগুলিকে নিয়মিত করিবার জন্য তাহাদিগকে সাধনা করিতে হইত। এই নিয়মনিষ্ঠার গুণে তাহাদের, চরিত্র সুগঠিত হইত এবং তাহার ছাত্রাবস্থা অতিক্রমপূর্বক গার্হস্থ্য জীবনে সমাজের অশেষ মঙ্গল সাধনে কৃতকাৰ্য্য হইত । পুৰ্ব্বকালে আয়োদধৌম্য ঋষির উপমনু নামক এক শিস্য