পাতা:ত্রিসন্ধি-অজিত কুমার চক্রবর্ত্তী.djvu/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্রিসদ্ধি। 蟹● বাহিয়া তথায় যাইতে হয়। তাজের পাশ্বদেশ ধৌত করিয়া নীল যমুনার ধারা প্রবাহিত হইতেছে। চারি কোণে চারিটি স্বন্দর শুভ্র মিনার, তারাগণ যেরূপ চন্দ্রকে বেষ্টন করিয়া থাকে, সেইরূপ তাজকে বেষ্টনপূর্বক অবস্থান করিতেছে। মধ্যভাগে ভূতলের চন্দ্রসদৃশ তাজ বিরাজমান। চতুর্দিকে প্রস্তরশিল্পের অতি সূক্ষ কাৰ্য্য-স্বরঞ্জিত লতাপত্ৰসকল দৃশ্যমান। যে দিকেই দৃষ্টি নিক্ষেপ কর, কারু-শিল্পের অপূর্ব মনোহারিত্ব তোমাকে চমৎকৃত করিবে । কিন্তু তাজের অমল ধবল গুস্বজ-গঠন এই সকল সূক্ষ কারু-শোভাকে আচ্ছন্ন করিয়া একটি অপরূপ স্বপ্নলোকের ন্যায় সর্ববাগ্রে দ্রষ্টার মন হরণ করে। এই গুম্বজ-নিক্ষে মমতাজ ও সাহজাহানের কবর সংলগ্ন ভাবে অবস্থিত। ইহার উদ্ধে বহু উচ্চে ছাদ । অতি সূক্ষ মৰ্ম্মর গবাক্ষ-জালপথে ক্ষীণালোক প্রবেশ করিতেছে। বাহিরে ধবল মৰ্ম্মরের অপূর্ব আলোকচ্ছটা দুই চক্ষু ঝলসিয়া দেয়, ভিতরে আলোক ক্ষীণ । কবরদ্বয়ের উপর ক্ষীণালোকের ঈষৎ আভা পতিত হইয়া তাহার বিচিত্র বর্ণরঞ্জিত চিত্ৰলেখাবলীর প্রকাশ এরূপ রমণীয় হয় যে, তাহা মানবভাষায় বর্ণনা করা দুঃসাধ্য। মমতাজের মৃত্যুর প্রায় অষ্টাদশ বৎসর পরে এই সমাধিসৌধ সমাপ্ত হয়। সাহজাহানের শেষ জীবন কারাগারে অতিবাহিত হইয়াছিল। সাহজাহানের একবার মৃত্যুর সম্ভাবনা ঘটাতে র্তাহার পুত্রগণ রাজ্যলাভের নিমিত্ত পরস্পর যুদ্ধ করিয়াছিলেন। ঔরঙ্গজেব সেই যুদ্ধে অন্যান্য ভ্রাতাদিগকে