পাতা:ত্রিসন্ধি-অজিত কুমার চক্রবর্ত্তী.djvu/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্রিসন্ধি | ... " «ዓ বৌদ্ধদিগের পর ভারতে আবার হিন্দুদিগের পুনরুত্থান হয় । কিন্তু এই নব যুগে হিন্দুগণ আর চরক ও স্বত্ৰত প্রভৃতির মৰ্য্যাদা রক্ষা করিতে পারেন নাই। বৌদ্ধ প্রভাবের পূর্বে হিন্দুগণ চিকিৎসা-বিজ্ঞানকে শাস্ত্রেরই অঙ্গীভূত করিয়াছিলেন ; জাতিনির্বির্বশেষে সকলেই মৃত-প্রাণীর দেহ ব্যবচ্ছেদ করিয়া শারীর-বিদ্যা শিক্ষা করিতেন, এবং মোমের পুত্তলিকা নিৰ্ম্মাণ করিয়া শিক্ষার্থিদিগকে দেহাভ্যন্তরের যন্ত্রাদির সংস্থান দেখাইতেন। কিন্তু নবযুগের হিন্দুগণ আবার পূর্ববৎ চিকিৎসাবিজ্ঞানকে সুপ্রতিষ্ঠিত করিতে পারিলেন না। ব্রাহ্মণগণ মৃত বা রুগ্ন প্রাণিদেহ স্পর্শকে মহাপাপ বলিয়া মনে করিতে লাগিলেন, চিকিৎসা-বিজ্ঞান বৈদ্যদিগের হস্তগত হইল। কিন্তু কালক্রমে ইহারাও এ বিষয়ে বীতশ্রদ্ধ হইয়া পড়িলেন। এই সুযোগে স্বল্প-শিক্ষিত বা অশিক্ষিত গ্রাম্য কবিরাজগণ চিকিৎসক হইয়া দাড়াইলেন । মুসলমানগণ যখন ভারতে আধিপত্য বিস্তার করিতে আরম্ভ করিলেন, তখন দেশের চিকিৎসা-পদ্ধতির এই দুর্দশা দেখিয়া র্তাহারা বিদেশ হইতে এক নূতন চিকিৎসা-পদ্ধতি ভারতে আনয়ন করিলেন । ইহার নাম হকিমি চিকিৎসা । এই মুসলমান হকিমগণই ইংরাজদিগের ভারতীগমনের পূর্বকাল পর্য্যন্ত এদেশে চিকিৎসা-কাৰ্য্য পরিচালন করিয়া আসিতেছিলেন। কিন্তু মুসলমান শাসনকালেও ঔষধ ও পথ্যাদি বিতরণ দ্বারা দরিদ্র প্রজাদিগকে রোগমুক্ত করিবার সুব্যবস্থা