পাতা:ত্রিসন্ধি-অজিত কুমার চক্রবর্ত্তী.djvu/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্রিম্বন্ধি । (tò বিশেষ বিবরণ প্রদান নিম্প্রয়োজন । বিশাল ভারত-সাম্রাজ্যের প্রত্যেক শিশুকে যাহাতে যথাকালে গো-বীজের টাকা দেওয়া হয়, রাজকৰ্ম্মচারিগণ তৎপ্রতিও বিশেষ দৃষ্টি রাখেন। এই ব্যবস্থায় ভারতবর্ষ হইতে প্রবল বসন্ত-রোগ বহু পরিমাণে বিদূরিত হইয়াছে। নিরাশ্রয় ও দরিদ্র পীড়িতদিগের সুচিকিৎসার জন্য প্রতি বৎসরে প্রায় এক কোটি মুদ্র ব্যয়িত হইতেছে, এবং হিসাব করিলে দেখা যায় যে, প্রতি বৎসর প্রায় দুই কোটি পচাত্তর লক্ষ নরনারী ও শিশু বিনা ব্যয়ে চিকিৎসিত হইতেছে। এতদ্ব্যতীত বসন্ত রোগ-নিবারক টীকা দিবার জন্য রাজকোষ হইতে বৎসরে প্রায় দ্বাদশ লক্ষ মুদ্রা ব্যয় করা হয়। 曹 প্রজাদিগের মধ্যে সুশিক্ষার বিস্তার করা রাজার আর একটি প্রধান কৰ্ত্তব্য । অশিক্ষিত মানব ও পশুর মধ্যে কোন পার্থক্য দেখা যায় না । আমাদের ইংরাজ-রাজা বর্তমান ভারতে নানা বিদ্যা শিক্ষা দিবার সুব্যবস্থা করিয়া দেশের যে মহছপকার সাধন করিতেছেন তাহাও বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য । গত ১৮৫৪ খৃষ্টাব্দে লোকশিক্ষার জন্য গবর্ণমেণ্ট গ্রাম্য পাঠশালার প্রতিষ্ঠা আরম্ভ করেন। সেই সময় হইতে উচ্চ ও নিম্ন শিক্ষাদানের জন্য প্রতি বৎসরেই এই বিশাল সাম্রাজ্যের প্রত্যেক গ্রামে ও নগরে বহু বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা চলিতেছে। সম্প্রতি প্রায় একাদশ লক্ষ পাঠশালা ও বিদ্যালয় ভারতে বিদ্যমান । এবং সেগুলিতে প্রায় চল্লিশ লক্ষ ভারতীয় বালক ও যুবক শিক্ষা '