পাতা:ত্রিসন্ধি-অজিত কুমার চক্রবর্ত্তী.djvu/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

W28 ত্রিসন্ধি । ছেন।” এইরূপে জনসাধারণ যখন সক্রেটিসের বিরুদ্ধে উত্তেজিত হইয়া উঠিল, তখন অতি সামান্য এক ব্যক্তি অপর দুইজন লোকের পোষকতায় সক্রেটিসের নামে ধৰ্ম্মাধিকরণে এক অভিযোগ উপস্থিত করিল। সক্রেটিস্ নগরের দেবতাগণকে পূজা করেন না ; তিনি যুবকগণকে কুপথগামী করিতেছেন ; এইরূপ অপরাধে সক্রেটিস অভিযুক্ত হইলেন। এই অপরাধে তাহার প্রাণদণ্ড হইবে শুনিয়া তাহার শিষ্যগণ যারপরনাই চিন্তিত হইলেন । র্তাহারা সক্রেটিসের পক্ষসমর্থনের জন্য উকিল নিযুক্ত করিতে চাহিলেন এবং অন্যান্য উপায়ে সক্রেটিসকে নির্দোষ প্রমাণ করিবার চেষ্টা করিতে লাগিলেন । কিন্তু সক্রেটিস্ একটুকুও বিচলিত হইলেন না। তিনি কি করিলেন ? তাহাকে এই ভাবে বিপদ গ্রস্ত করিয়া যখন তাহার শত্রুপক্ষীয়ের চতুর্দিকে আস্ফালন করিতেছিল, তাহার পরিণাম চিন্তা করিয়া যখন তাহার প্রিয় শিষ্যগণ ও ভক্তগণ গভীর দুঃখে নিমগ্ন হইয়াছিলেন, তখন সেই মহাপুরুষ আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগের কথা শুনিয়া একবারমাত্র ঈষৎ হাস্য করিয়া সম্পূর্ণরূপে নীরব হইলেন। তিনি বীরের স্যায় বিচারকগণের সমক্ষে দণ্ডায়মান হইলেন । তিনি আপন নির্দোষিত প্রমাণ করিবার জন্য কোনও চেষ্টা করিলেন না ; বিচারকদিগের কুপার ভিখারী হইয়া স্বীয় জীবন রক্ষার জন্তও প্রার্থনা করিতে ঘৃণাবোধ করিলেন। তিনি এথিনীয়গণকে সম্বোধন করিয়া একটা সুদীর্ঘ সারগর্ভ বক্তৃতা করিলেন। সক্রেটিসের বক্তৃতা শেষ হইলে