পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/১২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

মাথার একগাছা চুল ফেলিয়া দে দেখি?”

 এই কথা বলিতে, মশা হাতীর কাছিগাছটি ফেলিয়া দিলেন। খোক্কোশ তাহা হাতে করিয়া দেখিতে লাগিল। অনেকক্ষণ দেখিয়া শেষে বলিল,— “ওরে বাপ রে! এই কি তোদের মাথার চুল! তোদের চুল যখন এতবড়, এত মোটা, তখন তোরা না জানি কতবড়, কত মোটা। তোদের সঙ্গে পারা ভার!"

 তবুও কিন্তু খোক্কোশের মনে সম্পূর্ণ বিশ্বাস হইল না। ভাবিয়া-চিন্তিয়া খোক্কোশ পুনরায় বলিল,— “আচ্ছা, তোরা যদি ঘোক্কোশ, তবে তোদের মাথার একটা উকুন ফেলিয়া দে দেখি?”

 মশা বলিলেন,— “কঙ্কাবতী! শীঘ্র হাতীর পিঠ হইতে নামো।”

 তাহার পর মশা হাতীকে বলিলেন,— “হাতী ভায়া! এইবার!”

 এই কথা বলিয়া মশা, হাতীটিকে ধরিয়া, খোক্কোশের গর্ত্তে ফেলিয়া দিলেন। গর্ত্তে পড়িয়া হাতী শুড় দিয়া খোক্কোশের বাচ্ছাটিকে ধরিলেন। খোক্কোশের বাচ্ছা ‘চ্যা-চ্যা’ শব্দে ডাকিয়া, স্বৰ্গ মর্ত্ত্য পাতাল তোলপাড় করিয়া ফেলিল। শুড় বিশিষ্ট পর্ব্বতাকার উকুন দেখিয়া, ত্রাসে

কঙ্কাবতী
১১৩