পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/১৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুৰ্থ অধ্যায় উদ্যোগ আমীর বলিলেন, —“মহাশয়! তাঁহাই যদি সত্য, তবে চলুন না কেন? আপনার সেই ভূতটিকে গিয়া জিজ্ঞাসা করিয়া দেখি, তিনি যদি অনুগ্রহ করিয়া, আমার স্ত্রীকে উদ্ধার করিয়া দেন? কারণ, ভূতে ভূতে অবশ্যই আলাপ-পরিচয় আছে, নিমন্ত্রণ-আমন্ত্রণে, শান্দি-বিয়াতে অবশ্যই সাক্ষাৎ হইয়া থাকিবে। আমার স্ত্রীকে যে ভুতে লইয়া গিয়াছে, তাহাকে যদি তিনি দুটাে কথা বলিয়া দেন, তাহা হইলে আমার অনেক উপকার হইতে পারে। না হয়, স্ত্রীকে কি করিয়া পাই, তাহার একটা না একটা উপায়ও তিনি বলিয়া দিতে পারেন।” ব্ৰাহ্মণ বলিলেন,-“এ পরামর্শ মন্দ নয়, তোমার দুঃখ দেখিয়া আমি বড়ই কাতর হইয়াছি, আচ্ছা চল যাই, দেখি কি হয়।” ব্ৰাহ্মণ দুর্গা বলিয়া আমীর বিস্মিল্লা বলিয়া, যাত্ৰা করিলেন। ক্রমে তাঁহারা যে মাঠে ভূত থাকে, সেই মাঠে গিয়া উপস্থিত হইলেন। যে গাছে ভূত থাকে, সেই গাছতলায় গিয়া উপস্থিত হইলেন। সেখানে দাঁড়াইয়া গাছের দিকে চাহিয়া উৰ্দ্ধমুখে দুই জনে তুতি-মিনতি করিতে লাগিলেন। ব্ৰাহ্মণ বলিলেন, —“হে ভূত। আশ্ৰিত সেই দরিদ্র ব্ৰাহ্মণ আজ পুনরায় তোমার নিকট আসিয়াছে। তোমার কৃপায় তাহার প্রাণ রক্ষা হইয়াছে। তোমার কৃপায় তাহার দরিদ্রতা মোচন হইয়াছে। পৃথিবীতে যত ভূত আছে, সকল ভূতের তুমি শ্রেষ্ঠ । ভূতের তুমি রাজা। কৃপা করিয়া দেখা দাও, আর একবারুৎসাবির্ভাব হও।” মুসলমান বলিল, “ভূতসাহেব! হুজুরের নাম শুনিয়া কদম-বুেন্টু ফিরিতে এখানে আসিয়ছি। আমার মনস্কামনা সিদ্ধ করুন। হুজুরের এই গাছ কাচা-পাকা সিন্নি চড়াইব ।” এই প্রকারে আর সকল স্থানেই আলো, কেবল সেই স্থানটুকুতেই অন্ধকার। ক্ৰমে সেই অন্ধকাররাশি জমিয়া গাঢ় হইতে গাঢ়তর হইতে লাগিল। অবশেষে তাহা এক ভীষণ প্ৰকাণ্ড নরমূৰ্ত্তিতে পরিণত হইল। নরমূৰ্ত্তি ধরিয়া ভূত গাছ হইতে নামিয়া আসিল, বৃক্ষের পাশে আসিয়া দাঁড়াইল । এখানে এখন একটি নূতন কথা উঠিল! বিজ্ঞান-বেত্তারা-বিশেষতঃ ভূততত্ত্ববিৎ পণ্ডিতেরা—এ বিষয়টি অনুধাবনা করিয়া দেখিবেন। এখানে স্থির হইল। এই, যেমন জল জমিয়া বরফ হয়, অন্ধকার জমিয়া তেমনি ভূত হয়। জল জমাইয়া বরফ করিবার কল আছে, অন্ধকার জমাইয়া ভূত করিবার কল কি সাহেবেরা করিতে পারেন না? অন্ধকারের অভাব নাই। নিশাকালে বাহিরে তো অল্প-স্বল্প অন্ধকার থাকেই। তারপর মানুষের মনের ভিতর যে কত অন্ধকার আছে, তাহার সীমা নাই, অন্ত নাই। কোদাল দিয়া কটিয়া কাটিয়া বুড়ি পুরিয়া এই অন্ধকার কলে ফেলিলেই প্রচুর পরিমাণে ভূত প্ৰস্তুত হইতে পরিবে। তাহা হইলে ভূত খুব শস্তা হয়। একপয়সা, দুই পয়সা, বড় জোর চারি পয়সা করিয়া ভূতের সের হয়। শস্ত হইলে গরীব-দুঃখী সকলেই যার যেমন ক্ষমতা ভূত কিনিতে পারে। গাছের পাশে দাঁড়াইয়া, কিছু রাগতভাবে ভূত বলিল,—“বামুন! আজ আবার কেন আসিয়াছিস? তোর মত বিটুলে বামুন আমার অবাধ্য নয়। ইচ্ছা হইলে এখনি তোর ঘাড় gரு தி *** saYls við F (ST Te! - www.amarboi.com - SS