পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/১৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অল্পদিন হইল, দুখিরামের মৃত্যু হইয়াছে, লুলু তাহার ভূতগিরি পাইয়াছে। লুলু একটি সভ্য ভব্য নব্য ভূত। সে যে এতদিন পরে এখন মনের সাধে ভূতগিরি করিতেছে, তোমাদের মুখে একথা শুনিয়া বড়ই সুখী হইলাম।” ব্ৰাহ্মণ বলিলেন,-“সে কি কথা মহাশয়? দুরাচার লুলুর কাৰ্য্যে আপনি সন্তুষ্ট! আমরা যে, আপনার নিকট তাহার নামে অভিযোগ করিতে আসিয়াছি। ইহার স্ত্রীকে আপনি উদ্ধার করিয়া দিবেন, সেই প্রার্থনায় যে, আপনার কাছে আসিয়াছি!” এইরূপ অনেক বাদানুবাদের পর ভূত বলিল,—“দেখ, আমি এক্ষণে বৈরাগ্য-ধৰ্ম্ম অবলম্বন করিয়াছি, সংসারের বাদবিসংবাদ, ভাল-মন্দ কিছুতেই থাকি না। আমি জানি না লুলু এখন ইহার স্ত্রীকে কোথায় রাখিয়াছে। অন্বেষণ করি, এরূপ অবকাশ আমার নাই। তোমরা এক কাজ কর; এখান হইতে দশ ক্রোশ দূরে মাঠের মাঝখানে একটি পুরাতন কূপ আছে, সে কূপে এখন জল নাই। তাহার ভিতর ঘ্যাঘো বলিয়া একটি ভূত বাস করে। ঘ্যাঘো সকল সংবাদ রাখিয়া থাকে। ভূতাদিগের মধ্যে সে একরূপ গেজেট । তোমরা তাহার নিকট যাও, সে সকল সন্ধান বলিয়া দিবে। তবে কথা এই, আজ কিছুদিন হইল, ঘ্যাঘো মনোদুঃখে জ্বর-জুর হইয়াছে। মনের খেদে। বিরলে সে কূপের ভিতর বসিয়া আছে। কথা কহে না, ডাকিলে উত্তর দেয় না, তাহার দেখা পাওয়া ভার! চেষ্টা করিয়া দেখা ।” সেই মাঠে গিয়া উপস্থিত হইলেন। কুপের ধারে গিয়া ঘ্যাঘোকে ডাকিতে লাগিলেন। ব্ৰাহ্মণ ডাকিলেন,-“ঘ্যাঘো মহারাজ ! ঘ্যাঘো বাবু! ঘরে আছেন?” মুসলমান ডাকিলেন,- “ঘ্যাঘ্যোসাহেব! বাড়ী আছেন?” ডাকিয়া ডাকিয়া দুই জনেরই গলা ভাঙ্গিয়া গেল, তবুও ঘ্যাঘে কূপ হইতে বাহির হইল না, উত্তর পর্য্যন্ত দিল না। দুই জনে তখন ভাবিলেন, এ ত” বড়ই বিপদ! এর আবার উপায় কি করা যায়। ব্ৰাহ্মণ অনেক ভাবিয়া-চিন্তিয়া বলিলেন, —“চল, আমরা তাতির কাছে। যাই।” বিরস-বদনে দুইজনে ফিরিলেন। পুনরায় গ্রামে আসিয়া দুইজনে তাতির নিকট যাইলেন। ব্ৰাহ্মণ তাঁতিকে বলিলেন,-“ভায়া! তোমাকে একটি উপকার করিতে হইবে। ঘ্যাঘে নামে একটি ভূত আছে। সে আমার পরম বন্ধু। তাহার কানের ভিতর অতিশয় পোকা হইয়াছে, সে পোকা কিছুতেই বাহির হইতেছে না। দারুণ ক্লেশে ঘ্যাঘো এখন একটি কূপের ভিতর আশ্রয় লইয়াছে। আহার-নিদ্ৰা পরিত্যাগ করিয়া, তাহারই ভিতর অবস্থিতি করিতেছে। ডাকিলে উত্তর দেয় না, বাহিরেও আসে না। মনুষ্যের কানে পোকা হইলে অনেক কালোয়াতের গানে বাহির হইতে পারে, কিন্তু ভূতের কানের পোকা তোমার গান ভিন্ন কিছুতেই বাহির হইবে না। অতএব যদি তুমি একবার সেই কূপের ধারে বসিয়া একটু গান কর, তাহা হইলে বড়ই উপকৃত হই।” এ পৰ্যন্ত ইচ্ছাসত্ত্বে কেহ তাতির গান গুনে নাই। আজ তাহাকে গান গাওয়াইবার জন্য লোকে উৎসুক। এ অহঙ্কার রাখিবার কি আর স্থান আছে? আহাদে gரு தி ভূত ও মানু sNAls viði (SS BS! ro www.amarboi.com ro లి