পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/১৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিকট ছিচকে আনিয়াছে? ঘটি চোর বল, বাটি-চোর বল, ঘাড় হেঁট করিয়া মানিয়া লই । তোমাদের দু’কড়ার ছিটকে কে কবে চুরি করে বাপু? তাই বলি, হে সাদা-চোখোগণ! ভুলিয়াও কি তোমরা কখনও সত্যকথা বলিতে শিখিবে না ?” লম্বোদর, গগন প্রভৃতি বলিলেন,-“ঠিক বলিয়াছ। সাদা-চােখোঁদের বিশ্বাস নাই। সাদাচোখোদের ছাওয়া মাড়াইলে নাইতে হয়।” নয়ন বলিলেন, “আর বিশ্বাস করিও না, এই পেশাদার মাতালদের। মন তাদের সাদা বটে, কিন্তু কখন কিভাবে থাকে, তার ঠিক নাই। সাত ঘাটের জল এক করিয়া তুমি চারিটি আডিডা হইতে বাহির হইলে, আর হয়তো কোথা হইতে একটা মাতাল আসিয়া তোমার গায়ের উপর ঢলিয়া পড়িল। তােমার নেশাটি চটিয়া গলে। শীতকাল,মেঘ করিয়াছে, ওঁড়িওঁড়ি বৃষ্টি পড়িতেছে, ফুরফুর করিয়া বাতাস হইতেছে। সহজেই নেশাটি বজায় রাখা ভার, তার উপর কোথা হইতে হয়তো একটা মাতাল আসিয়া তোমার গায়ে হড়-হড় বমি করিয়া দিল। তোমার নেশাটির দফা একেবারে রফা হইয়া গেল। পেশাদার মাতালেরা এইরূপ লোকের মৰ্ম্মান্তিক করে। পাল-পাৰ্ব্বণে পেট ভরিয়া মদপুঁটুকু খাওয়া গেল, অজ্ঞান হইয়া পড়িয়া থাকা গেল, মীেজ হইল, একথা বুঝি তা নয়! সকাল নাই, সন্ধ্যা নাই, দিন নাই, ক্ষণ নাই, অষ্টপ্রহরে তুমি মদ খাইয়া তত্ত্ব হইয়া থাকিবে! মেজাজটি গরম করিয়া রাখিবো। ঠাকুর দেবতা লইয়া তোমার বাড়ীতে লোকে গান করিতে আসিবে, আর লাঠি লইয়া তুমি তাদের মারিতে দৌড়িবে। এ কি বাপু! এরে কি ভাল কাজ বলে? না এরে হিন্দুধৰ্ম্ম 沮传!” লম্বোদর জিজ্ঞাসা করিলেন,-“এইরূপ ধ্ৰুংঙ্কটা মাতালের পাল্লায় পড়িয়াছিলে না কি?” নয়ন উত্তর করিলেন,-“হাঁ ভাই! ত 3) আমার শীতলাটি জাগ্ৰত, হেলা-ফেলা গুডুক তামাকের শীতলা নয়, তাই সে রক্ষা পাইয়াছিলাম।” সকলেই অতি আগ্রহের সহিত করিলেন,-“ব্যাপারখানা কি বল দেখি?” নয়ন বলিলেন,-“ভাই!! একদিন প্ৰাতঃকালে শীলতাটি হাতে করিয়া এক মাতালের বাড়ী গিয়া উপস্থিত হইয়াছিলাম। জানি কি ছাই যে, সে মাতালের বাড়ী? তাহা হইলে কি আর যাইতাম? তার বাড়ীতে গিয়া, মন্দিরেটি বাজাইয়া সবে মাত্র আরম্ভ করিয়াছি। —“শীতলা বলেন আমি যার ঘরে যাই”—আর মিনসে করিল কি জান ভাই!! এক না কম্বল-মুড়ি দিয়া, ‘আর্য আঁ” শব্দ করিতে করিতে, ঘরের ভিতর হইতে বাহিরে দৌড়িয়া আসিল। তার সেই বিকট “অ্যা আঁ” শব্দ শুনিয়াই পেটের পিলে আমার চমকিয়া গেল। শশব্যস্ত হইয়া প্ৰাণ লইয়া আমি পলাইবার উদ্যোগ করিলাম। তা ভাই! পলাইতে না পলাইতে বেটা যেন ঠিক কেঁদো বাঘের মত আসিয়া আমার পিঠের উপর পড়িল। তারপর দুঃখের কথা বলিব কি ভাই, এই কিল! এই কিল, তো এই কিল! আর সে কিল তো নয়! এক-একটি কিলে মনে হইল যেন পিঠের সব জায়েন খুলিয়া গেল। ভাবিলাম,—হায় হায়! কেন মরিতে শীতলার ব্যবসা’ করিতে গিয়াছিলাম? শীতলার ব্যবসা করিতে গিয়া, এমন যে সখের প্রাণটি, সে প্রাণটি আজ হাৱাইলাম।” ভূত ও মানুষ Xbr(* s sNAls viði (SS BS! ro www.amarboi.com ro