পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/১৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ পৰ্ব্ব বসিয়া আছে দুইটি ভূত যাহা হউক, মনের সাধে কিল মারিয়া মিনূসে আমার শীতলাটি কাড়িয়া লইল। আমি পলাইলাম। প্ৰাণটা যে রক্ষা পাইল, তাই ঢের। পথে যাইতে যাইতে, মনে মনে শীতলাকে বলিলাম যে,-“মা! আর তোমার গান করিতে আমি চাই না, তোমার চাল পয়সা আর চাই না। পিঠের হাড়গুলি যে চুরমার হইয়া গিয়াছে, এখন তাই তুমি রক্ষা কর, ঘরের ছেলে ঘরে ফিরিয়া যাই।” গগন বলিলেন—“ঈশ! তাই তো। এ যে ঠিক সেই সুবল ঘোষের কথা।” লম্বোদর জিজ্ঞাসা করিলেন, —“সুবলের কি হইয়াছিল?” গগন বলিলেন,-“দুধ বেচিয়া সুবলের পিসী কিছু টাকা করিয়াছিলেন!! পিসী মরিয়া যাইলে সুবল সেই টাকাগুলি পাইলেন। টাকা পাইয়া সুবল মনে করিলেন যে, দুর্গোৎসবটি করি। ঠাকুর-গড়া হইল, পূজার দিন আসিল । সিঙ্গি, চােরা, ময়ুর, গণেশের ঔড়, এইসব দেখিয়া সুবলের মনে বড় আনন্দ হইল, হাড়ে-হাড়ে তাঁর ভক্তি বিধিয়া গেল। পূজার কয়দিন স্বয়ং নিজে ক্রমাগত শাক বাজাইলেন। প্রাণপণ চিকুড়ে শাকে ফুদিলেন কোৎ পাড়িয়া শাক বাজাইতে বাজাইতে এখন গোগগোলটি বাহির হইয়া পড়িল। তারপর সে গোগগোলের জ্বালায় অস্থির। গােগগােলের জ্বলায় অস্থির হইয়া, বিসর্জনের ফ্ৰায় গিয়া ঠাকুরের সম্মুখে দাঁড়াইলেন। গলায় কাপড় দিয়া হাতযোড় করিয়া ঠাকুরকে বলিন্তের্জািঠ । ধন চাই না, মা! মান চাই না মা ! চাই না পুতুর বর। এখন শঙ্খ বাজাইতে গিয়া এই বেরি গোগৃগোল তাই রক্ষা কর। ଦ୍ବିତ নয়নেরও ঠিক তাই হইয়াছিল। চাল চাই না মা! পয়সা চাই না মা! এখন এই হাড়গুলি যোড়া লাগাইয়া দাও। কেমন হেনয়ান! ঠিক নয়?” নয়ন বলিলেন, —“হাঁ, ভাই, ঠিক তাই। কিন্তু আশ্চর্য্যের কথা বলিব কি ভাই! পাঁচ-সাত দিন পরে আমার নামে এক চিঠি! যে শীতলা কাড়িয়া লইয়াছিল, তার চিঠি! ডাকে সেই খোলার ঘরে গিয়া চিঠি উপস্থিত। মাতালটা আমার ঠিকানা জানিল কি কারিয়া? চিঠিতে লেখা ছিল যে, শীঘ আসিয়া তোমার শীতলা লইয়া যাইবে । তোমার এ জাগ্ৰত শীতলা । এ শীতলা লইয়া আমি বড় বিপদে পড়িয়াছি। তোমার কোন ভয় নাই। শীঘ্ৰ তোমার শীতলা লইয়া যাইবে। যাই কি না। যাই? এই কথা লইয়া মনে মনে অনেক তোলা-পাড়া করিতে লাগিলাম। গিনী রাগিয়া বলিলেন, —“যাও-ই-না ছাই! তোমায় সে কি খাইয়া ফেলিবে?” আমি বলিলাম, —“তুমি তো বলিলে, যাও-ই-না ছাই! কিন্তু সে কিলের স্বাদ তো আর তুমি জান না? মনে করিতে গেলে এখনও আমার আত্মা-পুরুষ শুকাইয়া যায়। চুণে-হলুদ বাটিয়া হাতে তোমার কড়া পড়িয়া গেল, তবু বল, যাও-ই-না ছাই। এঁটেল মাটি দিয়া আর একটি শীতলা গড়িতে পারিব, প্ৰাণটি তো আর এঁটেল মাটি দিয়া গড়িতে পারিব না!” যাহা হউক, অবশেষে যাওয়াই স্থির করিলাম। সন্ধ্যার পর, ভয়ে ভয়ে, কঁাপিতে কঁাপিতে, প্ৰাণটি হাতে করিয়া সেই মাতালের বাড়ী গিয়া উপস্থিত হইলাম। বাটীর ভিতরে প্রবেশ Sbris frig aniż3. g3 ze - www.amarboicomfo%37*"***"****