পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/১৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করিলাম। ন জনঃ ন মানবঃ । কাহাকেও দেখিতে পাইলাম না। বাহিরের ঘরের দ্বারের নিকটে গিয়া একটু উকি মারিয়া দেখিলাম, বাপু রে! বলিতে এখনও সৰ্ব্বশরীর শিহরিয়া উঠে ! বাহিরের ঘরের ভিতরে দেখি, না, বসিয়া আছে দুইটি ভূত। লম্বোদর বলিলেন, —“মাইরি?” নয়ন বলিলেন, —“মাইরি ভাই! দেখিলাম যে, ঘরের ভিতর বসিয়া আছে দুইটি ভূত।” সৰ্ব্বশরীর ঠকঠক করিয়া কঁাপিতে লাগিল। পা যেন মাটিতে পুতিয়া গেল! টাকরা পৰ্যন্ত ধূলি মাড়িয়া গেল! পলাইতে পা উঠে না, চেচাইতে রা সরে না! অজ্ঞান হতভোম্বা হইয়া আমি সেইখানে দাড়াইয়া রহিলাম। দুইজনের মধ্যে যিনি কৰ্ত্তা-ভূত, আমাকে দেখিয়া তিনি উঠিয়া দাঁড়াইলেন। মুখ দিয়া তাঁর আগুনের হালকা বাহির হইতে লাগিল। তিনি আমাকে হাতছানি দিয়া ভিতরে ডাকিলেন। আমাতে কি আর আমি ছিলাম যে, ভাবিব চিন্তিব? সুড়সুড়ি করিয়া ভিতরে যাইলাম। আমাকে বসিতে বলিলেন । আস্তে আস্তে আমি ঘরের একপাশে বসিলাম । কৰ্ত্তা-ভূত বলিলেন,-“আমাকে চিনিতে পারিলে না। আমি আর কেহ নাই, আমি সেই মিত্তির জা, যে তোমার শীতলা কাড়িয়া লইয়াছিল। তোমার এ শীতলাটি জাগ্ৰত বটে! কেবল ঐ শীতলাটির জন্য ভূত হইয়া আমাকে আটকে থাকিতে হইয়াছে, তা না হইলে বাস আমার বৈকুণ্ঠে। এখন তোমার শীতলাটি ফিরিয়া লও, যে আমি বৈকুণ্ঠে ঢলিয়া যাই।” দ্বিতীয় ভূত বুলিলেন,-“আহা! ইহারে তুমি অনেক কিন্তু না। ইহার শীতলা কেন যে জাগ্ৰত, সে কথাগুলি গল্প করিবে । তাহা হইলে লোকে আরও ভ ইহার শীতলাকে পূজা দিবে। ইহার দু’পয়সা রোজগার হইবে। পেটে খাইলে প্লিািঠ/সয় । পিঠে বিলক্ষণ হইয়াছে; এখন পেটে খাইবার সুবিধা করিয়া দাও।” কৰ্ত্তা-ভূত আমাকে জিজ্ঞাসা কেমন হে! সব কথা শুনিতে চাও? কিসে বৈকুণ্ঠটি আমার কানের কাছ দিয়া গিয়াছে, সেকথা শুনিতে চাও?” ভূতেদের কথা শুনিয়া আমার মনে অনেকটা সাহসী হইয়াছিল, ধড়ে প্রাণের সঞ্চার হইয়াছিল; আমি বলিলাম,-“আজ্ঞে হাঁ, শুনিতে চাই বই কি? তবে মহাশয়ের কিলের কথা মনে হইলে, আর জ্ঞান থাকে না।” কৰ্ত্তা-ভূত হাসিয়া বলিলেন,-“না, না, আর কিল মারিব না। তোমার ঘাড়াও মটকাইয়া দিব না। কেন তোমার শীতলাকে জাগ্ৰত বলিতেছি, এখন সে সকল কথা শুনা।” আডডাধারী মহাশয় ও লম্বোেদর গগন প্রভৃতি বলিয়া উঠিলেন, —“নয়ান! তােমার সাহস তো কম নয়! স্বচ্ছন্দে বসিয়া ভূতেদের সঙ্গে তুমি গল্পগাছা করিলে? বুকের পটা তো তোমার কম নয়?” নয়ন উত্তর করিলেন,-“বেঁধে মারে সয় ভাল। করি কি? ভূতের খর্পারে গিয়া পড়িয়াছি, পলাইবার তো যো ছিল না, কাজেই কাদায় গুণ ফেলিয়া পড়িয়া থাকিতে হইল। তা না হইলে সদাই ভয় হইতেছিল। কি জানি? ভূতের মরজি! যদি বলিয়া বসে যে, তোমার পিঠ, দেখিয়া আমাদের হাত সুড়-সুড় করিতেছে; এস দুইটি কিল মারি । তোমার ঘাড় দেখিয়া আমাদের হাত নিশ-পিশ করিতেছে, এস ভাঙ্গিয়া দিই! তাহা হইলে কি করিতাম! যাহা হউক, সেরূপ কোন বিপদ ঘটে নাই। ভূতগুলি দেখিলাম, ভাল-মানুষ ভূত। সেই কৰ্ত্তা-ভূতের এখন আশ্চৰ্য্য কাহিনী শুন ।” ভূত ও মানুষ &brዓ 낳 sNAls viði (SS BS! ro www.amarboi.com ro