পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/২১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বীরবালাকে ধৰ্ম্মাদত্তের হস্তে সমৰ্পণ করি। বীরবালা,-ধীর লজ্জাশীলা ও পরমাসুন্দরী।” একথায় সকলে সম্মত হইলেন । ধৰ্ম্মদত্তের সহিত বীরবালার বিবাহ হইল। দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বৎসরের পর বৎসর গত হইতে লাগিল। এদিকে ভারতসিংহের ঘরে ধৰ্ম্মদত্ত বাড়িতে লাগিলেন, ও দিকে জবরদস্তসিংহের গৃহে বীরবালা বাড়িতে লাগিলেন। ধৰ্ম্মদত্ত ও ধৰ্ম্মদত্তের মাতা কিন্তু বড়ই অসুখে কালব্যাপন করিতে লাগিলেন। ভারতসিংহের গৃহে অমাবস্যা বাবাজীর এখন একাধিপত্য। ধৰ্ম্মদত্তকে তিনি দুটি চক্ষু পাড়িয়া দেখিতে পারেন না। বিনা দোষে সৰ্ব্বদাই তাঁহাকে প্রহার করেন। টাকা-কড়ি বিষয়-বিভব, সমুদয় এখন অমাবস্যা বাবাজীর হাতে । ধৰ্ম্মদত্তের মাতাকেও তিনি আহার-পরিচ্ছদের ক্লেশ দিতে লাগিলেন । ক্রমে ভারতসিংহ নিজীব জড় পদার্থপ্ৰায় জবু-থবু হইয়া পড়িলেন। এইরূপে সাত-আট বৎসর কাটিয়া গেল। একদিন অমাবস্যা বাবাজী ধৰ্ম্মদত্তকে চিমটার দ্বারা অতিশয় প্রহার করিলেন। ধৰ্ম্মদত্তের শরীরে শতধারা হইয়া রক্ত পড়িতে লাগিল। সেইদিন বিনয় করিয়া ধৰ্ম্মদত্ত বাবাজীকে বলিলেন,-“মহাশয়! দেখুন, আমি আর এখন বালক নই, এক্ষণে বড় হইয়াছি। আমাকে বিনা দোষে প্ৰহার করা আর ভাল দেখায় না। আমাকে আর মারিবেন না। স্মরণ রাখিবেন যে, খরতর ক্ষত্রিয়-শোণিত আমার শিরায় শিরায় প্রবাহিত ऊ८छ् ।।' বাবাজী পরিহাস করিয়া হাসিয়া উঠিলেন। কিছুদিন পরে পুনরায় তিনি ধৰ্ম্মদত্তকে প্রহার করিলেন । ধৰ্ম্মদত্ত সেদিন আর ক্ৰোধ সংবরণ করিতে প্ৰরিলেন না। বাবাজীর গলা টিপিয়া ধরিলেন। সবল ক্ষত্রিয়যুবার সহিত শীর্ণকায় রবেন কেন? শ্বাসরোধ হইয়া বাবাজী মৃতপ্ৰায় হইলেন। কেবল প্ৰাণটি থাকিতে তাহাকে ছাড়িয়া দিলেন। রাগ-দ্বেষে পরিপূর্ণ হইয়া বাবাজী বলিলেন, —“ভাল! লাইব! অমাবস্যা বাবাজীর গায়ে হাত তুলিয়া কে বীচিতে পারে, একথা আমি লাইব ।” অল্পদিন পরে ভারতসিংহের একুষ্টি’ৰ্কন্যা হইল। সূতিকাঘরে সমাগতা প্ৰতিবাসিনিগণ নবপ্রসূতা কন্যাটির অলৌকিক রূপ লাবণ্য দেখিয় আশ্চৰ্য্য জ্ঞান করিলেন। কন্যার রূপে সূতিকাঘর প্রভাময় হইল। সকলে একবাক্য হইয়া বলিলেন,-“ধৰ্ম্মের মা! তোমার কন্যাটির কি অদ্ভুত রূপ হইয়াছে! দিদি, আঁতুড়ঘরে এরূপ রূপ তো কখনও দেখি নাই! কন্যাটির নাম কমলা রাখা।” সকলে মিলিয়া কন্যাটির নাম কমলা রাখিলেন। ভারতসিংহের কন্যা হইয়াছে শুনিয়া অমাবস্যা বাবাজীর রাগ হইল। ভারতসিংহকে তিনি বলিলেন, —“মহাশয়! আপনার বিশুদ্ধ ক্ষত্ৰিয়কুলে কন্যা কখনও জীবিত থাকে নাই। আপনার পূৰ্ব্বপুরুষদিগকে শ্বশুর বলিয়া কেহ সম্বোধন করেন নাই। ইংরাজের দৌরাত্ম্যে আজ ক্ষত্ৰিয়কুল কলঙ্কিত হইতেছে সত্য, কিন্তু আমি আপনার গৃহে থাকিতে আপনার কূল কলঙ্কিত হইতে দিব না। এক্ষণে যেরূপ অনুমতি হয়।” ভারতসিংহ এক্ষণে জড়পদার্থ। জ্ঞানগোচর কিছুই নাই। তিনি বলিলেন, —“যা ভাল বিবেচনা করেন, তাহাই করুন।” \. অমাবস্যা বাবাজী সুযোগ অনুসন্ধান করিতে লাগিলেন। নীচ জাতি ধাত্রীকে অর্থ দ্বারা বিশ করিলেন। একদিন ঘোর নিশীথে, ধৰ্ম্মের মাতাকে নিদ্রিত পাইয়া ধাত্রীর যোগে বাবাজী কমলাকে চুরি করিলেন। পূৰ্ব্বপ্রচলিত প্রথা অনুসারে কন্যাটিকে মৃত্তিকা-পাত্রে রাখিলেন। সেই হাঁড়িতে একটু গুড় ও একটুখানি তুলা রাখিয়া সরা চাপা দিলেন। গ্রামের বাহিরে জনশূন্য . Motify thୟ ୪୪୩>{ SRod দুনিয়ার পাঠক এক হও! ^ www.amarboi.com"ণ্ডৈ" ai