পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/২১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আছে কি না? প্ৰথমে বোগদাদ না গিয়া অন্য কোনও স্থানে যাবার বাসনা করি। দেখি সেই স্থানে গিয়া উপস্থিত হই কি না।” এইরূপ ভাবিয়া তিনি কবজখানি বামহাতের ভিতর করিলেন, আর মনন করিলেন,-“আমি পৃথিবীর মুড়োতে যাইব ।” মনে করিতে না করিতে বীরবালা শূন্যপথে দ্রুতবেগে প্ৰান্ত ভাগে উড়িয়া চলিলেন। নিমিষের মধ্যে পৃথিবীর প্রান্তভাগে উপস্থিত হইলেন। বীরবালা দেখিলেন যে, অত উচ্চ প্রাচীর দ্বারা আমাদের এই পৃথিবীটি চারিদিকে বেষ্টিত। আকাশ ভেদ করিয়া সেই প্রাচীর রহিয়াছে। বীরবালা ভাবিলেন যে, তবে এই প্রাচীর হইল পৃথিবীর শেষ, ইহার ও-দিকে আর পৃথিবী নাই। প্রাচীরের ও-ধারে কি আছে? সেটি দেখিতে হইবে। প্রাচীরের গায়ে গায়ে গোল গোল ছোট ছোট ছিদ্ৰ দেখিতে পাইলেন। সেই ছিদ্ৰ দিয়া বীরবালা উকি মারিলেন । সৰ্ব্বনাশ! প্রাচীরের ও-ধারে পৃথিবীর ও-পারে কোটি কোটি খৰ্ব্বকায় ভূত। প্রাচীর ধরিয়া ক্ৰমাগত তাহারা ঠেলিতেছে; ইচ্ছা,-প্রাচীর ভাঙ্গিয়া পৃথিবীতে প্ৰবেশ করে। পৃথিবীতে আসিয়া পৃথিবী একবারে রসাতল দিবে, এই তাঁহাদের বাসনা। কোটি কোটি খৰ্ব্বকায় ভূতগণ একবার যদি প্রাচীর পার হইতে পারে, তাহা হইলে পৃথিবীর আর রক্ষা নাই। মনুষ্যকুল ধ্বংস করিয়া পৃথিবী তাহারা অধিকার করবে। তাহাদের ভয়াবহ মূৰ্ত্তি দেখিয়া বীরবালার প্রাণে ভয় ङ्ट्रेब्न । ছিদ্ৰ দিয়া তাহারাও সেই সময়ে বীরবালাকে দেখিতে পাইল। ছিদ্ৰ দিয়া হাত বাড়াইয়া তাহারা বীরবালার হাত ধরিল। কবজখানি কড়িয়া এই তাহদের বাসনা। অতিকষ্টে বীরবালা হাত ছাড়াইয়া লইলেন। কিন্তু ঘোর বিপূঢ় ! টানাটানিতে কবজখানি ছিড়িয়া (श्न! ○ বােগদাদে না গিয়া পৃথিবীর প্রান্তভাগে মিস্থার্মািছ আসিয়া কবজখানি হাৱাইলেন। সে নিমিত্ত কৱিন্তের্গ কিন্তু কি করবেন! আর উপায় নাই। পৃথিবীর চলিত্ত্বে গুগলে । পৃথিবীর আগা কি এখানে? পথ আর ফুরায় রূপ পথ চলিলেন। তথাপি লোকালয়ে আসিয়া উপস্থিত হইতে পারিলেন না। একদিন এক পাহাড়ের নিকট বীরবালা একটি সবুজ বর্ণের বৃদ্ধাকে দেখিতে পাইলেন। বৃদ্ধ গাছতলায় বসিয়া রৌদ্র পোহাইতে ছিল ও চরকা কাটিতেছিল। বীরবালাকে দেখিয়া সে অমনি তাড়াতাড়ি চরকা ফেলিয়া উঠিল, আর আকাশপানে পা করিয়া বীরবালার চারিদিকে ঘুরিতে লাগিল। বীরবালা যেদিকে যান, আর আকাশপানে পা করিয়া বুড়ীও সম্মুখে আসিয়া উপস্থিত হয়। এইরূপে ঘুরাইয়া-ফিরাইয়া, অবশেষে বীরবালাকে বুড়ী যেই একটি ঘরের ভিতর প্রবেশ করাইল, আর সব দ্বার বন্ধ হইয়া গেল। বীরবালার বড় ভয় হইল। দ্বার ঠেলিতে লাগিলেন, কিছুতেই খুলিতে পারিলেন না। সবুজ বুড়ী আপনার আত্মীয়স্বজনকে নিমন্ত্ৰণ করিয়া আনিল। সবুজ বুড়ীর বাটীতে কোলাহল পড়িয়া গেল। ঘরের ভিতর বসিয়া বসিয়া বীরবালা তাহদের সকল কথা শুনিতে পাইলেন। এই পৌষপাৰ্ব্বণে তাহারা লাগিল। চারিদিকে চাউল কুটিবার ধুম পড়িয়া গেল। ডাল বাটা হইতে লাগিল। অবশেষে বীরবালাকে কুটিবার সময় উপস্থিত হইল। অন্য ভূতাদিগের মত সবুজ ভূতেরা আচারবিহীন নয়। ইহারা বৃথা মাংস ভক্ষণ করে না; ঠাকুরদের নিবেদন করিয়া বীরবালার বলিদান হইবে। তাহার পর বীরবালার দেহকে কাটিয়া-কুটিয়া পিষ্টক প্রস্তুত করিবে। দুই-চারি জন সবুজ ভূতে So রচনাসংগ্ৰহ uskla »ižo 33 m vi.amarboi.comio