পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/২৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গিয়াছে। মুখ বিবৰ্ণ হইয়া গিয়াছে। যেন ঠিক মৃত লোকের আকার হইয়াছে। কতবার তাহাকে আমি মস্তক তুলিতে বলিলাম। কিন্তু কিছুতেই সে মস্তক উত্তোলন করিল না, ঘাড় হেঁট করিয়া মাটির দিকে চাহিয়া রহিল। আমি নানারূপ প্রশ্ন করিলাম। কিন্তু সকল কথাতেই হয় “হঁয়া”, আর না হয় “না”— এইরূপ উত্তর দিল। আমার দিকে একবার চাহিয়া দেখিল না। অবশেষে সে কাদিয়া ফেলিল। তাহার শরীরের অবস্থা দেখিয়া আমার বড় দয়া হইল। সে কোন কথা বলিবে না, সুতরাং আর তাহাকে কষ্ট দেওয়া বৃথা। সে নিমিত্ত আমি তাহাকে বাটীর ভিতর যাইতে বলিলাম। a সপ্তম পরিচ্ছেদ আমি করি কি কুসী বাটীর ভিতর চলিয়া যাইলে, তাহার পিতা আমাকে বলিলেন,- “দেখিলেন তো মহাশয়! ইহার মনের গতিক ভাল নহে। সেই বিকারের পর হইতে ইহার বুদ্ধিভ্রংশ হইয়া গিয়াছে; কিয়ৎ পরিমাণে বায়ুগ্ৰস্ত হইয়াছে। বিবাহ হইয়া গেলে, নানারূপ বসন-ভূষণ পাইয়া বােধ হয় সারিয়া যাইবে।” আমি উত্তর করিলাম,— “বায়ুগ্ৰস্ত হইয়াছে কি নাপ্তাহা আমি জানি না, কিন্তু ইহার মনের অবস্থা যে নিতান্ত মন্দ, তাহা নিশ্চয় কথা। সোিন্টমিত্ত শরীরের অবস্থাও ভাল নহে। আপনার কন্যা যাহা বলে, সত্য সত্য তাহাই বা ঘট্ৰেংষ্ট যাহা হউক, আমি ঔষধাদি প্ৰদান কৃষ্টিীর্ম না। কোনরূপ ঘোরতর দুশ্চিন্তার নিমিত্ত শরীরের এইরূপ অবস্থা হইয়াছে, তাহাতে ঔষধ দিয়া কি হইবে? বোধ হয়, দ্বিতীয় বার এই বিবাহই যত অনার্থের মূল। রসময়বাবু কেন এ কাজ করিতেছেন, তাহা আমি বুঝিতে পারিলাম না! কুসীর স্বামী “বাবু” কোথায় গেল, তাহাও জানি না। এ বিধবা-বিবাহ নহে। তাহা যদি হইত, তাহা হইলেও না হয়, এ ব্যাপারের অর্থ বুঝিতে পারিতাম। কুসীর যে একবার বিবাহ হইয়াছে, সে কথা গোপন রাখা হইতেছে। কাশীতে কুসীর সহিত যখন আমার সাক্ষাৎ হয়, রসময়বাবু সে সময় ব্ৰহ্মদেশে ছিলেন। কুসীর যে একবার বিবাহ হইয়াছে, তিনি কি তা জানেন না? ফল কথা, ভাবিয়া-চিন্তিয়া আমি কিছুই স্থির করিতে পারিলাম না। যাহা ইচ্ছা হউক, আমার এত ভাবনায় আবশ্যক কি? এই বিবাহের শেষ পৰ্যন্ত দেখিয়া, আমি এ স্থান হইতে চলিয়া যাইব । এইরূপ চিন্তা করিয়া আমি চুপ হইয়া রহিলাম, আর কুসীকে দেখিতে চাহিলাম না। তবে কুসী কেমন আছে, সে কথা প্রতিদিন জিজ্ঞাসা করিতাম। রসময়বাবু প্রতিদিন বলিতেন, — “সেইরকম আছে, কথা তো সে কয় না, তবে মাঝে মাঝে বলে যে, তাহার বিবাহ দিতে হইবে না, বিবাহের পূৰ্ব্বেই সে মরিয়া যাইবে। বৃথা সকল আয়ােজন হইতেছে।” আমি চুপ করিয়া রহিলাম বটে, কিন্তু মন আমার বড়ই উদ্বিগ্ন হইল। এ বিবাহ যাহাতে না হয়, সম্পূর্ণভাবে সেই ইচ্ছা হইল। কাশীর কথা প্ৰকাশ করিয়া এ বিবাহ নিবারণ করি, সে ইচ্ছা! বার বার আমার মনে উদয় হইল। কিন্তু “বাবু”, যদি ইহার যথার্থ স্বামী না হয়? সে বিষয়েও যদি কোনরূপ গোল থাকে? তাহা হইলে, কাশীর কথা প্ৰকাশ করিয়া আমি নিজেই ঘোর ফোকুলা দিগম্বর sNAls viði (SS BS! ro www.amarboi.com ro SSAS