পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/২৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হইলাম।” পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি যে, এই সমুদয় পূৰ্ব্ব-বিবরণ কুসীর মাসী আমাকে যে ভাবে বলিয়াছিলেন, আমি এ স্থানে সে ভাবে বলি নাই। আমি আমার নিজের কথায় তাহা বৰ্ণনা করিলাম। কুসুমের মাসী এই সমুদয় পূৰ্ব্ব-কথা অতি সংক্ষেপে বলিয়াছিলেন। এই সমুদয় কথা বলিতে অতি অল্প সময়ই লাগিয়াছিল। পরে অন্য লোকের নিকট হইতে আমি যে সমুদয় তত্ত্ব সংগ্ৰহ করিয়াছি, তাহাও এই মাসীর বিবরণের ভিতর যথাস্থানে সন্নিবেশিত করিয়াছি। সে জন্য আমার বিবরণ কিছু বিস্তারিত হইয়াছে। জিজ্ঞাসা করিলেন,- “তোমাদের কথা এখনও শেষ হয় নাই? এ দিকে যে অনেক কাজ পড়িয়া আছে!” তাহার উত্তরে, মাসী অল্প উচ্চৈঃস্বরে বলিলেন,-“যাই!” তাহার পর আমাকে লক্ষ্য করিয়া তিনি বলিলেন, “২১”রায় মহাশয় এ দিকে আসিতেছে। দুহাই তােমার! প্ৰকাশ করিও না। আমার মুখে, দিও না । আর সকল কথা পরে বলিব ।” রসময়বাবু নিকটে আসিয়া শালীকে বিবাহ সম্বন্ধে কোন একটা দ্রব্যের কথা বলিলেন। কুসুমের মাসী তৎক্ষণাৎ সেই স্থান প্রস্থান করিলেন । তাহার পর রসময়বাবু অ — “কুসুমের কি রোগ হইয়াছে, তাহা কি কিছু বুঝিতে পারিলেন? এখন একটু যেন ভাল আছে বলিয়া বোধ হয়। আমার স্ত্রীর অনেক সাধ্য-সাধনায় এখন সে একটু দুধ পান করিয়াছে।” আমি উত্তর করিলাম,-“কতকটা বুঝিয়াছি; তাহাকে একটু ঔষধ দিতে হইবে! একটা শিশি দিতে পারেন?” এই কথা বলিয়া আমি বাহিরে গমন করিলাম। রসময়বাবুও একটা শিশি লইয়া বাহিরে আসিলেন । আমার ব্যাগ হইতে ঔষধ বাহির করিয়া, তাহা প্ৰস্তুত করিতে করিতে আমি ভাবিলাম,-“তবে এ বিধবা-বিবাহ! বাবু জীবিত নাই! যাহাঁদের কন্যা, তাহারা বুঝিবে। আমার কথায় কাজ কি? কিন্তু বাবুর জন্য আমার বড় দুঃখ হইল। তাহার সেই হাসি-হাসি মুখখানি আমার মনে পড়িতে লাগিল। ঔষধ প্ৰস্তুত করিয়া আমি রসময়বাবুকে দিলাম; তিনি বাটীর ভিতর গমন করিলেন। আমি বরযাত্রীদিগের বাসায় গমন করিলাম । sNAls viði (SS BS! ro www.amarboi.com ro