পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৩৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আজ্ঞা করিলেন, তাহা আমার শিরোধাৰ্য। কিন্তু মহাশয়! আমি হইলাম মানুষ, ইনি হইলেন ডাকিনী । ইহার সহিত কিরূপে আমার পরিণয় হইতে পারে? তাহা ব্যতীত ঘরে আমার আর একটি পত্নী আছেন। সপত্নীর নিকট গিয়া আপনার নাতিনীর সুখ হইবে না।” ভূমিকম্প ঈষৎ হাসিয়া বলিলেন,- “সেজন্য তোমার কোন চিন্তা নাই। তোমাকে আমরা ছাড়িয়া দিব না। নারিকেলমুখী তোমাকে ভেড়া করিয়া চিরকাল এই স্থানে রাখিয়া দিবে।” আমি বলিলাম,- “সে সুখের কথা বটে। কিন্তু মহাশয়! এরূপ সুপাত্রীর উপযুক্ত পাত্ৰ আমি নই।” ভূমিকম্প উত্তর করিলেন,- সে চিন্তা তোমাকে করিতে হইবে না। নারিকেলমুখীর ভাব দেখিয়া আমি বুঝিতে পারিয়াছি যে, তোমার প্রতি তাহার মন হইয়াছে।” এই কথা শুনিয়া নারিকেলামুখী ঈষৎ হাসিয়া আমার প্রতি কটাক্ষবাণ নিক্ষেপ করিল। পুনরায় ঈষৎ হাসিয়া ভেকসংযুক্ত নোলোকটি একবার নাড়িল। তাহার অপূৰ্ব্ব রূপ ও হাবভাব দেখিয়া আমার মন একেবারে মোহিত হইয়া গেল। আমি ভাবিলাম যে, মৃত্যু হউক, তাহাও আমার পক্ষে শ্ৰেয়ঃ তথাপি এ কদাকার ডাকিনীকে আমি বিবাহ করিতে পারিব না। বৃদ্ধের নিকট আমি বারবার অনেক ওজার-আপত্তি করিলাম, বিনয় বচনে আমি অনেক সাধ্যসাধনা করিলাম। কিন্তু বৃদ্ধ কিছুতেই আমাকে নিস্কৃতি প্ৰদান করিতে স্বীকৃত হইলেন না। অবশেষে নিরুপায় হইয়া আমি বলিলাম,- “মহাশয়। ইনি ডাকিনী, আমি মানুষ। কিছুতেই আমি ইহাকে বিবাহ করব না। আপনি আমার মস্তক কঢ়িয়া ইহাকে প্ৰদান করুন। আমার মুণ্ড লইয়া ইনি ভাটা ক্রীড়া করুন। বিবাহ আমি ইহাকে করিব না ।” বৃদ্ধ বলিলেন, — “তুমি আমার খরিদ-দার ১২ মুণ্ড আমি কিছুতেই কাটিয়া ভাঁটা ব্লকেলুমুখীকে বিবাহ করিতে হইবে। লাউমুখী! শঙ্খ আনয়ন কর! উলু দাও।” পুনরায় উলুধ্বনিতে আকাশ গাঢ়্যু আমার নিকটবৰ্ত্ত হইয়া মৃদুস্বরে মুণ্ডমালা হইতে একটি মুণ্ড আনিয়া দিতেছি।” আমি চাহিয়া দেখিলাম। দেখিলাম যে, কিছু দূরে বনের ভিতর একটি ভগ্ন মন্দির রহিয়াছে। লাউমুখীর সঙ্কেত আমি বুঝিতে পারিলাম। ভূমিকম্প বৃদ্ধিকে আমি বলিলাম,— “এ বিবাহকাৰ্য অল্পক্ষণের নিমিত্ত আপনি স্থগিত রাখুন। আমি আপনাদের মুণ্ড লইয়াছি, তাহার পরিবৰ্ত্তে আর একটি মুণ্ড আনিয়া দিতেছি।” আশ্চৰ্য্য হইয়া ভূমিকম্প আমাকে জিজ্ঞাসা করিলেন,- “আর একটি মুণ্ড তুমি আনিয়া দিবে! সে মুণ্ড তুমি কোথায় পাইবে?” আমি উত্তর করিলাম,- “ঐ মন্দিরে মা আছেন। মায়ের গলদেশে যে মুণ্ডমালা আছে, তাহা হইতে একটি মুণ্ড আমি আনিয়া দিব।” বৃদ্ধ জিজ্ঞাসা করিলেন,— “এ সন্ধান তোমাকে কে বলিয়া দিল?” আমি কোন উত্তর করিলাম না । ভূমিকম্প বৃদ্ধ পুনরায় বলিলেন, — “এ কথার উপর, কথা বলিবার আমাদের শক্তি নাই। যখন তুমি মা জগদম্বার নাম করিয়াছ, তখন আর আমরা কোন আপত্তি করিতে পারি না। যদি তুমি মায়ের মুণ্ডমালা হইতে একটি ভাল মুন্ড আনিয়া দিতে পাের, তাহা হইলে তোমাকে আমরা লাগিল। এইবার উলু দিতে দিতে লাউমুখী লিল,— “বল যে, ঐ মন্দিরে গিয়া কালীর গলদেশস্থিত \ЈАЈУ 2 Փ|-*//cil sNAls viði (SS BS! ro www.amarboi.com ro