পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৪৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বরে জিজ্ঞাসা করিল,— “কোথা যাস?”— হারাণের পত্নী সভয়ে অতি বিনীতভাবে উত্তর করিল,- “কোথাও যাই নি, বাবা! ছেলে দুইটি এখনি বিছানা ভিজাইয়া দিবে, সেজন্য তাহাদিগকে একবার বাহিরে লইয়া যাইতেছি।’ --রাক্ষস বলিল,- “শীঘ্ৰ আসিস!”- হারাণের পত্নী বলিল,— “হা, বাবা, শীঘ আসিব ।”—এই কথা বলিয়া আগড় খুলিয়া ছেলে দুইটিকে লইয়া, সে ঘর হইতে বাহির হইল। উৰ্দ্ধশ্বাসে তিন জনে গ্রামের ভিতর প্রবেশ করিয়া, এ প্রতিবেশীর গৃহে গিয়া আশ্রয় লইল। প্রতিবাসীদিগের নিকট সকল বিবরণ প্ৰকাশ করিল। কিন্তু সে রাত্রিতে রাক্ষসের সম্মুখে যাইতে কেহই সাহস করিল না। পরদিন প্ৰাতঃকালে অনেক লোক একত্র হইয়া লাঠি-সীেঠ লইয়া হারাণের গৃহে গিয়া দেখিল যে, সে রাক্ষস নাই, হারাণের দেহও নাই, কেবল দুই-চারিখানি অতি ক্ষুদ্র হাড়ের কুচি ঘরের ভিতর মাদুরের উপর পড়িয়া আছে। সমুদয় দেহটি ভক্ষণ করিয়া, রাক্ষস প্রস্থান করিয়াছে।” ষষ্ঠ অধ্যায় পত্রের অর্থ

  • डिशिअन बार अश्न पार्लि डोजर्थ स्नाया था ०ि বাটীতে থাকিব না। গত রাত্রিতে রাক্ষসের বুেপ্ত হয় ক্ষুধা ছিল না, তাই আমার প্রাণ বাঁচিয়া গিয়াছে। কিন্তু এবার যেদিন সে আসিবে যদি তাহার ক্ষুধা থাকে, তাহা হইলে কি হইবে? নিকটে পাইয়া নিশ্চয় সে। খাইবে । অতএব অদ্যই আমি এ বাসা হইতে উঠিয়া যাইব। প্রাণটা থাকিলে অর্নেক্ল কন্যা জুটিবে, অনেক বিবাহ হইবে। পাল মহাশয়ের কন্যায়। আর আমার প্রয়োজন নাই।”

ভট্টাচাৰ্য মহাশয় হাসিয়া উত্তর করিলেন,- “তুমি ইংরেজী পড়িয়াছ। ইংরেজী পড়িয়া ভূত প্রেত রাক্ষসে এত তোমার ভয় কেন? এ কলিকাতা সহর। আমি অনেকদিন কলিকাতায় আছি। এ স্থানে কখনও রাক্ষসের উপদ্রব হইতে শুনি নাই। কলিকাতা সহরে একটি মানুষকেও কখন রাক্ষসে খায় নাই। তোমার কোন ভয় নাই। ব্যস্ত হইও না। দেখ না কি হয়! রাত্রিতে একটু সতর্ক থাকিবো। রাক্ষস যদি পুনরায় আগমন করে, তাহা হইলে আমাকে বলিবে। আজ আমি তোমাকে রাম-কবচ লিখিয়া দিব। তাহা ধারণ করিলে, আর তোমার কোন ভয় থাকিবে না।” রাম-কবচ ধারণ করিয়া আমার ভয় দূর হইল। সে বাসা পরিত্যাগ করিয়া, অন্য স্থানে আমি আর গমন করিলাম না। তাহার পর দুই রাত্রি আমি একটা পৰ্যন্ত জাগিয়া রহিলাম। মাঝে মাঝে জানােলা খুলিয়া, অশ্বথগাছের দিকে দেখিতে লাগিলাম। কিন্তু আর রাক্ষস দেখিতে পাইলাম না। সময় বাড়ীর ভিতর যাইবার যে দ্বারা সৰ্ব্বদা বন্ধ থাকে, পাল মহাশয়ের দিক হইতে সে দ্বারে কে ধাক্কা মারিল, আর তৎক্ষণাৎ কপাটের ফাঁক দিয়া আমার দিকে কে একখণ্ড কাগজ ফেলিয়া দিল। তাড়াতাড়ি আমি কাগজখানি কুড়াইয়া লইলাম। তাহার পর ঘরের ভিতর গিয়া, তক্তপোষের উপর বসিয়া, তাহা আমি পাঠ করিলাম। কাগজখানিতে এইরূপ লেখা ছিল,— মুক্তা-মালা sNAls viði (SS BS! ro www.amarboi.com ro 88s