পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৪৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাল মহাশয় উত্তর করিলেন,- “তাহাঁই তো ভয়! সেই বিপদেই তো এখন আমি পড়িয়াছি; আর সেইজন্যই তো তোমাকে আমি ডাকিয়াছি। কি করিব, কিছুই আমি স্থির করিতে পারিতেছি না। পুলিশের লোক এখনি হয়তো আসিয়া উপস্থিত হইবে। নিয়োগী থানায় খবর দিতে গিয়াছে।” বিস্মিত হইয়া আমি বলিলাম,- “নিয়োগী। পাল মহাশয় উত্তর করিলেন, — “হাঁ, নিয়োগী। তাহার পুত্ৰ বেচুর সহিত আমার কন্যার বিবাহ সম্বন্ধ হইয়াছিল। কিন্তু বেচুর এখন যেরূপ অবস্থা, তাহাকে সে বিবাহ আমি কিছুতেই দিতে পারি না। সেই কথা শুনিয়া, আমার উপর নিয়োগীর অতিশয় রাগ হইয়াছে। যখন বাসার কোন কোন লোকের নিকট তুমি রাক্ষসের গল্প করিয়াছিলে, নিয়োগী। তাহা শুনিয়া তৎক্ষণাৎ বুঝিতে পারিয়াছিল যে, সে ভুতও নয়, রাক্ষসও নয়,- সে আমার পুত্র মিহির ব্যতীত অন্য কেহ নয়। ছদ্মবেশ ধারণ করিয়া, সে আমার বাটীত গমনাগমন করিতেছে। কারণ নিয়োগী সেই খুনের কথা সমুদয় অবগত আছে। তাহার পুত্র ও আমার পুত্র,- হুগলীতে এক বাসায় থাকিয়া লেখাপড়া করিত। সেই বাসাতেই এই খুন হয়। নিয়োগীপুত্রের পরামর্শে ও সহায়তায় আমার পুত্র পলায়ন করে। তোমার মুখে রাক্ষসের কথা শুনিয়া পৰ্যন্ত নিয়োগী বোধ হয়, চৌকি দিতেছিল। তাহার পর আজ রাত্রিতে মিহিরকে আসিতে দেখিয়া সে থানায় সংবাদ দিতে গিয়াছে। ཨ་མས་ལ། ཨ་རིས་འོག་ ནས་ལམ་ ༢ ཨ་མ་ཚུལ་ལ་ যে, সে থানায় খবর দিতে ঠিন্তে পারে এইমাত্র আসিয়াছিল। তাহার পিতা যে (ফেঁর অন্যায় কাজ করিতেছে, তাহা বোধ হয়, সে বুঝিতে পারিয়াছে। সেজন্য আমাকে কথা বলিয়া গেল।” একাদশ অধ্যায়। রাধারাণীর বুদ্ধি আমি বলিলাম,- “মিহির এই বোলা অশ্বথগাছ দিয়া পলায়ন করুক না কেন?” পাল মহাশয় উত্তর করিলেন,- “তাহার যো নাই। বেচু বলিয়া গেল যে, সদর দরজায় একজন কনষ্টেবল দাড়াইয়া আছে। সেদিক দিয়া পলায়ন করিবার উপায় নাই। পশ্চিমে গলির রাস্তায় এই জানালার পার্শ্বে যেদিকে অশ্বখগাছ রহিয়াছে, সে স্থানে নিয়োগীর বন্ধু সেই দালাল দাড়াইয়া পাহারা দিতেছে। দুই পথে দুই জনকে পাহারা রাখিয়া নিয়োগী থানায় গিয়াছে।” আমি জানালার নিকট গিয়া ঈষৎ উকি মারিয়া দেখিলাম। দেখিলাম যে, সত্য বটে,- সে মুক্তা-মালা 8 sNAls viði (SS BS! ro www.amarboi.com ro