পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৪৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পর আমি ভাবিতে লাগিলাম,- ‘সংসার কি ভয়ানক স্থান। মিহির সম্পূর্ণ নিরপরাধ; নিশ্চয় খুন করে নাই। তথাপি তাহাকে কত না কষ্টভোগ করিতে হইতেছে! ধরা পড়িলে হয়তো তাহার ফাঁসিও হইবে। অন্তৰ্য্যামী ভগবান কেন এমন করিতেছেন? এ রহস্য আমি বুঝিতে পারি না। হে ঈশ্বর! তুমি জান; আমি কিছুই জানি না।” এইরূপ ভাবিয়া আমি প্ৰতিজ্ঞা করিলাম,- “আজ হইতে যথাসাধ্য সকল বিষয়ে আমি চুপ করিয়া থাকিব । তাহার যাহা ইচ্ছ, তাহাই হউক ৷” ভ্ৰাতাকে আমার ঘর দেখাইয়া দিয়া, বারেণ্ডার দ্বারে ভিতর হইতে খিল দিয়া রাধারাণী পুনরায় আমার নিকট আসিয়া বলিল,— “আপনি ভয় করিবেন না! আপনি যে দাদা নহেন, তাহা জানিতে পারিলেই পুলিশ আপনাকে ছাড়িয়া দিবে। কিন্তু অনুগ্রহ করিয়া আপনি শীঘ্য পরিচয় দিবেন না। যত বিলম্ব করিতে পারেন, ততই ভাল। কারণ, বিলম্ব হইলে দাদাকে সরাইতে আমরা সময় পাইব ।” রাধারাণীর মধুর বচনে আমার মন আশ্বাসিত হইল। আমিও তখন মনে মনে বুঝিয়া দেখিলাম যে, সত্য বটে; আমাকে কেন তাহারা ফাঁসি দিবে? আমি যে মিহির নই, জানিতে পারিলেই, তাহারা আমাকে ছাড়িয়া দিবে। আমার নাম-ধাম প্রকাশ করিতে আমি যত পারি, ऊष्ठ विलय दलिन्द । রাধারাণী পুনরায় বলিল,— “আপনার এ ঘরে থাকা উচিত নহে। আপনাকে অন্য স্থানে যাইতে হইবে। আসুন!” রাধারাণীর সহিত সে ঘর হইতে আমি বাহির হইলুম)”চক্ষুর উপরে মুখসে দুইটি গোল ছিদ্র সামান্য একটু নিভৃত অন্ধকারময় স্থান ছিলুঙ্গিস্থনে যে ভগ্নপ্রাচীর আছে, তাহার কোণে রাধারাণী আনিয়াছিল। সেই মাদুর সে আড়াল করা: দিল। মাদুরের অন্তরালে চুপ করিয়া আমি বসিয়া রহিলাম। নানারূপ আশ্বাসবাক্যে আমাকে প্ৰবোধ দিয়া রাধারাণী সে স্থান হইতে প্ৰস্থান করিল। প্রাচীরের কোণে মাদুরের আড়ালে বসিয়া, শব্দ শুনিয়া, সমুদয় ঘটনা আমি বুঝিতে পারিলাম। পাল মহাশয় দ্বার খুলিয়া দিলেন; সে শব্দ আমি পাইলাম। অনেকগুলি লোক বাটীর ভিতর প্রবেশ করিল; সে শব্দ আমি পাইলাম। সাত-আট জন লোক, তড়-তড় করিয়া সিঁড়ি দিয়া উপরে উঠিল; সে শব্দ আমি পাইলাম। পাল মহাশয়ের তিনটি ঘর আতি-পাতি করিয়া তাহারা খুঁজিতে লাগিল; সে শব্দও আমি পাইলাম। তাঁহাদের অনুসন্ধান যে বৃথা হইল, তাহাদের কথাবাৰ্ত্তায় তাহাও বুঝিতে পারিলাম। অবশেষে দুই জন লোক আমার দিকে আসিতেছে, পদশব্দে তাহাও আমি বুঝিলাম। যে স্থানে আমি লুক্কায়িত ছিলাম, সেই দুই জন লোক সেই স্থানে আসিয়া উপস্থিত হইল। গোল। লণ্ঠনের প্রখর আলোক তাহারা মাদুরের উপর ধরিল। তাহার পর, একজন অগ্রসর হইয়া মাদুরটি সরাইয়া ফেলিল। তৎক্ষণাৎ সেই দুই জন লোক একসঙ্গে চীৎকার করিয়া উঠিল,— “আসামী পাইয়াছি! আসামী পাইয়াছি।” সেই কথা শুনিয়া পুলিশের অন্যান্য লোক সেই স্থানে দৌড়িয়া আসিল । তাহদের মধ্যে একজন তৎক্ষণাৎ আমার হাতে হাতকড়ি লাগাইয়া দিল। ঘরের ভিতর পাল মহাশয়ের কন্যা ও Bo fi:Ilă zi, o ga se - www.amarboi conf**