পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৪৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমি দেখিতে পারিব না।” বিস্ময়ান্বিত হইয়া আমি জিজ্ঞাসা করিলাম,- “মিহিরের আপনি সৰ্ব্বনাশ করিয়াছেন? মিহিরের আপনি কি করিয়াছেন?” নিয়োগী-পুত্র বলিল,- “যে খুনের জন্য মিহির পথে পথে ফিরিতেছে, যে খুনের জন্য তাহার ফাঁসি হইবার সম্ভাবনা, সে খুন করে নাই, সে খুন। আমি করিয়াছি।” আমি বলিলাম,- “কি !!! সত্য?” নিয়োগী-পুত্ৰ উত্তর করিল,-সম্পূর্ণ সত্য। মিহির, আমি আর সেই ছােকরা,--তাহার নাম বেণী—আরও তিন-চারি জন, হুগলীতে এক বাসায় থাকিয়া স্কুলে পড়িতাম। সকলেই আমরা এক জাতি। আমরা সকলে পরস্পরের কুটুম্ব ও পরিচিত। মিহির ও বেশী একঘরে থাকিত। পাল মহাশয়ের সহিত বেণীর পিতার ভূমি-সম্পত্তি লইয়া বিবাদ হয়। কিন্তু তাঁহাতে মিহির ও বেণীতে যে সদ্ভাব ছিল, তাহার ব্যতিক্রম হয় নাই। পরীক্ষায় টাকা ও অন্যান্য খরচের নিমিত্ত বেণীর পিতা একশত টাকা প্রেরণ করিয়াছিলেন। আমার সাক্ষাতে বেণী সেই টাকাগুলি বিছানায় আপনার শিয়ারদেশে বালিশের নিম্নে রাখিয়া দিল । আমার পিতা ধনবান ব্যক্তি নহেন। খরচের টানাটানি আমার সকর্বদাই থাকিত। সেই টাকাগুলি দেখিয়া আমার লোভ হইল । দৈবের লিখন কেহ খণ্ডাইতে পারে না। সেইদিন রাত্রি দুইটা কি তিনটার সময় সহসা আমার নিদ্রাভঙ্গ হইল। জাগ্রত হইয়া আমি বিছানায় শুইয়া আছি, এমন সময় মিহির ও বেণী যে-ঘরে থাকে, সেই ঘরের দ্বার খুলিবার শব্দ হইল। বিছানা উঠিয়া, আমিও আস্তে আস্তে আমার ঘরের দ্বার খুলিলাম। দ্বারের নিকট দাড়াইয়া গেল। আমি ভাবিলাম, উত্তম সুবিধা হইয়াছে। দেখ্রিস্তু লাইতে পারি কি না। এই মনে করিয়া আমিতে এতদূর বলিয়া বেচু আর বলিতে পারিল না। তাহার শ্বাস-প্ৰশ্বাস ক্রিয়া অতি দ্রুতভাবে সম্পন্ন হইতে লাগিল। “জল!” এই কথা বলিয়া সে আমাকে গেলাস দেখাইয়া দিল। তাড়াতাড়ি জলের গেলাস লইয়া আমি তাহার মুখে ধরিলাম। চতুৰ্দশ অধ্যায় বেচুর শেষ কথা জলপান করিয়া বেচু কিছু সুস্থ হইল। অল্পক্ষিণ বিশ্রাম করিয়া পুনরায় সে বলিতে আরম্ভ করিল— “আমাকে ধরিয়া চোর চোর বলিয়া বেণী পুনরায় চীৎকার করিতে উদ্যত হইল। আমি তাহার মুখ চাপিয়া ধরিলাম ও সেখান হইতে পলায়ন করিতে যথাসাধ্য চেষ্টা করিতে লাগিলাম। কিন্তু বেণী আমাকে সহজে ছাড়িল না। সেই ঘরের দেয়ালের নিকট সামান্য একটি মেজে ছিল। ՀI3.j-ՀՈՊ sNAls viði (SS BS! ro www.amarboi.com ro