পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৪৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰথম অধ্যায় দুইজন বালক ! ধরণীধর মণ্ডল ধনবান লোক। তিনি কলিকাতায় বাস করেন। বাহিরে তাঁহার জমিদারী আছে। মণ্ডল মহাশয় পাঁচ-ছয়টীি ছেলেকে অন্ন দেন। তাঁহার বাড়ীতে থাকিয়া তাহারা স্কুলে বিদ্যা অধ্যয়ন করে। তাহাদের মধ্যে দুইটী বালকের সহিত এই গল্পের সম্বন্ধ-একজনের নাম যাদব মুস্তাফি, বয়স বারো বৎসর। আর একজনের নাম নরোত্তম মাশ্চটক, বয়স দশ বৎসর। দুইজনেই এক জাতি,-ব্ৰাহ্মণ; কিন্তু অন্য কোনও সম্পর্ক নাই। দুইজনেরই পিতা মণ্ডল সামান্য। অন্য দিক হইতে কিছু কিছু পাওনা আছে; তাই সে বেতনে ইহারা সংসার চালাইতে পারেন। বাসা খরচ দিয়া পুত্রকে কলিকাতায় রাখেন, সে ক্ষমতা তাঁহাদের নাই। সে জন্য মনিব মণ্ডল মহাশয়কে বলিয়া দুই জন পিতা আপন আপন পুত্রকে তাহার বাড়ীতে রাখিয়াছেন। যাদব মুস্তফি ও নরোত্তম মাশ্চন্টক এক ঘরে বাস করে, এক ইস্কুলে পড়ে, এক সঙ্গে খেলা করে। দুইজনে বড় ভােব। যাদব বড়, মাশ্চাটককে সে ভাইয়ের মত স্নেহ করে। অন্য বালকের সঙ্গে ঝগড়া হইলে, যাদব তাহাকে প্ৰাণপণে রক্ষা করে। কিন্তু দুই জনের স্বভাব সম্পূর্ণ বিপরীত। যুদর্ঘ্য পর্বলি Z 12S T ਜਨਮ র না, তাহার অনিষ্ট সাধনের নিমিত্ত সৰ্ব্বদাই ছিদ্র নরোত্তমের মনের কথা কেহ পায় না। নিজের ভাল হবে কি মন্দ হবে, যাদব সে চিন্তা কখনও করে না। নরোত্তম সৰ্ব্বদাই নিজের মঙ্গলের চেষ্টা করে। যাদব কখনও হাতে একটি পয়সা রাখে। না, হয়। গরীব দুঃখীকে দিয়া ফেলে, না হয় খাবার কিনিয়া বন্ধুবান্ধবদের সহিত ভাগ করিয়া খায়। নরোত্তম কখনও একটি পয়সা খরচ করে না। ফল কথা, নরোত্তমের সুবুদ্ধি ও নম্র প্রকৃতির জন্য সকলেই তাহাকে প্রশংসা করে; যাদবের কেহ প্ৰশংসা করে না। পিতা মাতারা আপনাদের পুত্ৰদিগকে বলেন—“আহা! নৱোত্তম কি সোনার ছেলে, দেখিলে চক্ষু জুড়ায়। তোমরা তাহার মত হইও । যাদবের মত যেন হইও না ।” একদিন বৈকাল বেলা যাদব একলা বেড়াইতে গিয়াছিল। সন্ধ্যাবেলা বাড়ী আসিয়া সে দেখিল যে, নরোত্তম বিছানায় পড়িয়া আছে। যাদব জিজ্ঞাসা করিল,- “নরোত্তম, শুইয়া আছ কেন ভাই? তোমার কি অসুখ ফরিয়াছে?” নৱোত্তম কোনও উত্তর করিল না, উঠিয়া বসিল না, কেবল ফোঁশ, ফোশ করিয়া কাঁদিতে লাগিল। যাদব আলো জ্বলিল। তাহার পর পুনরায়— “কি হইয়াছে, ভাই?”— এই কথা Wget (38ff7! 8bró sNAls viði (SS BS! ro www.amarboi.com ro