পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৫২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোড়শ অধ্যায়। প্ৰভাবতীর কথা প্রভাবতী বলিল,— “সেই মহাত্মা পুনরায় আমাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, — “তোমার মরিতে কি ভয় হইতেছে?” আমি উত্তর করিলাম,- “মরিতে আমার ভয় হয় নাই। তবে পিতা মাতাকে ছাড়িয়া যাইব, তাহারা আমার জন্য কাঁদিবেন, সেই জন্য আমার দুঃখ হইতেছিল। কিন্তু আপনার কথা শুনিয়া সে দুঃখ এখন আমার দূর হইল।” মহাত্মা বলিলেন,- “একবার আমার সঙ্গে এস, কেমন স্থানে আমরা বাস করি, কেমন স্থানে তুমি এখনি যাইবে, চল একবার দেখিয়া আসিবে।” এই কথা বলিয়া, তিনি আমার হাত ধরিলেন। ঘরের ছাদ ভেদ করিয়া আমরা উপরে উঠিলাম। অতি দ্রুতবেগে আমরা আকাশে গিয়া উঠিলাম। রাত্রিকাল, তথাপি উপরে উঠিয়া সূৰ্য চন্দ্র সব আমি দেখিতে পাইলাম। সূৰ্য চন্দ্র পার হইয়া আরও উপরে উঠিলাম। তাহার পর ক্ৰমে এক দেশে গিয়া আমরা উপস্থিত হইলাম। সে যে কি সুন্দর দেশ!-- তাহা বাবা, – তোমাকে আর কি বলিব! সেখানে নানাজাতীয় গাছ আছে, নানাজাতীয় ফুল আছে। কিন্তু সে গাছের, সে ফুলের যে কি শোভা, তাহা মুখে বলিতে পারা যায় না। পৃথিবীতে তাহার কোন উপমা নাই। সে স্থানের বায়ু কি সুমিষ্ট! চারিদিক ১সৌরভে পরিপূর্ণ বায়ুতে, বৃক্ষপত্রে, নদীর ঝরঝর শব্দে, চারিদিকে কেমন সুমধুর 9 পর সে স্থানের সব লোক! তাঁহাদের কি সুন্দর রূপ! সকলের উজ্জ্বল মুখে পবিত্ৰতা, শান্তি, ভালবাসা ও আনন্দ যেন মাখানো রহিয়াছে। সে স্থানে বালিকা আছে। কিন্তু একজনও বৃদ্ধ নাই।” প্ৰভাবতী বলিল,- “মহাত্মাকে জিজ্ঞাসা করিলাম,-- এখানে কেহ বৃদ্ধ নাই। আপনার চুল তবে পাকিয়া গিয়াছে ফেঁটন?” মহাত্মা উত্তর করিলেন,- “এইরূপ বেশ ধরিয়া তোমার নিকট যাইতে আমি আদেশ পাইয়াছিলাম। ইচ্ছামত আমরা নানারূপ বেশ ধরিভে পারি। যে সমুদয় স্থানে যাইতে আমাদের অধিকার আছে, নিমিষের মধ্যে সে সকল স্থানে আমরা যাইতে পারি।” আমি বলিলাম,- “এ স্থানটী কি সুন্দর! শান্তি ও আনন্দে স্থানটী যেন প্লাবিত হইয়া আছে!’ মহাত্মা বলিলেন, — ‘শীঘ্রই আমি তােমাকে এই স্থানে আনিব। মৃত্যুর পর ভাল লোকেরা দেবশরীর ধারণ করিয়া এই স্থানে আগমন করে। আত্মীয় স্বজনের সহিত সুখে এই স্থানে বাস করে। এ স্থানে হিংসা নাই, দ্বেষ নাই, রোগ নাই, শোক নাই; কিন্তু ইহা অপেক্ষা আরও অনেক সুখের স্থান আছে। আত্মীয় স্বজনের সহিত মানুষ ক্ৰমে ক্ৰমে সেই সকল স্থানে গমন করে। তাহাই মানুষের প্রকৃত ঘর; দুঃখময় পৃথিবী মানুষের প্রকৃত ঘর নহে।” মহাত্মার কথায় আমার যেন মনে শান্তি ঢলিয়া দিল, আমার বুদ্ধি পরিকৃত হইল। নানারূপ প্রশ্ন আমার মনে উদয় হইতে লাগিল। আমি তাহাকে যাহা জিজ্ঞাসা করিলাম, আর তিনি যাহা বলিলেন,- তাহার আদেশে, বাবা!— সে সকল কথা তোমাকে আমি বলিতেছি। মহাত্মাকে আমি জিজ্ঞাসা করিলাম,- “যে বাড়ীতে আমি এক্ষণে বাস করি, তাহার একজন লোক বলেন যে, মানুষ মরিয়া গেলে আর কিছু থাকে না। সে কথা। তবে সত্য নয়?” মহাত্মা উত্তর করিলেন,- “ঈশ্বর দয়াময়; তিনি প্ৰতারক নহেন। সেই করুণা-সাগরের এক Welf (Soff 6:S\E) sNAls viði (SS BS! ro www.amarboi.com ro