পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৫৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জোড়হাত করিয়া সে বলিতে লাগিল,- “আমার প্রাণবধ করিও না। জীবনের কাজ এখনও আমার শেষ হয় নাই। মানুষ কি উপায়ে অমর হইতে পারে, তাহার ঔষধ আমি বাহির করিতেছি। আবিষ্কার হইলে সে ঔষধ তোমাকে আমি দিব। দোহাই তোমার! আমাকে এখন বধ করিও না ।” রুস্তম বলিলেন,— “তোমাকে আর বিশ্বাস নাই। মিথ্যা আঙটি দিয়া তুমি আমার প্ৰাণবধের উপায় করিয়াছিলো। নিশ্চয় আমি তোমার মাথা কাটিয়া ফেলিব।” গুরু অনেক কাকুতি-মিনতি করিয়া বলিল,— “আমি সত্য বলিতেছি যে, আমি তোমাকে ফাঁকি দিই নাই। আমি তোমাকে ঠিক ঔষধ দিয়াছিলাম। তবে কেন উপকার হয় নাই, তাহা বলিতে পারি না। আচ্ছা, কি হইয়াছে তাহা তুমি আমাকে বল। বিনা অপরাধে আমাকে বধ করিও না ।” রুস্তম বলিলেন,- “তুমি আমাকে যে আঙটি দিয়াছিলে, ভানুমতীর দক্ষিণ হাতের অঙ্গুলিতে তাহা আমি পরাইয়া দিলাম। আঙটি পরাইবামাত্র ভানুমতীর খড়ের দেহ দপ্‌ করিয়া জুলিয়া উঠিল। তাহার পর কি হইল, তাহা আমি বলিতে পারি না। কারণ, তৎক্ষণাৎ আমি সেস্থানে হইতে পলায়ন করিলাম। ভানুমতী বঁচিয়া আছে কি মরিয়া গিয়াছে, তাহাও আমি জানি না ।” গুরু বলিলেন, — “ভানুমতী বঁচিয়া আছে, মরে নাই। কি জন্য ভানুমতীর দেহে আগুন লাগিয়াছিল, তাহা আমি বুঝিয়াছি। তাহার দক্ষিণ হাতে আঙটি পরাইবার পূৰ্ব্বে, তুমি তাহার বামহাতের আঙটি খুলিয়া লইয়াছিলে? যে আ] নিশাপুরের কুজো রাজাকে দিয়াছিলাম?” ○ রুস্তম উত্তর করলেন,—“না, আমি সে ভূপ্লেট খুলিয়া লই নাই।" গুরু বলিলেন,- “তবে সে OX । পূৰ্ব্বের আঙটি না খুলিয়া তুমি তাহার হাতে নূতন আঙটি পরাইলে কেন? যাহা দুর্ভুক্ল, আমি তোমাকে এখন আর একটি ঔষধ দিতেছি। প্রথম ভানুমতীর বামহাত হইতে তুমি সেই পূৰ্ব্বের আঙটি খুলিয়া লইবে । দক্ষিণ হাতে যে নূতন আঙটি আছে, তাহা খুলিয়া লইবে না। তাহার পর ভানুমতীর দেহে এই ঔষধ সিঞ্চন করিবে। তাহা করিলে ভানুমতী ভাল হইয়া যাইবে, তাহার খড়ের হাত-পা রক্তমাংসের হইবে।” এই বলিয়া গুরু রুস্তমের হাতে ছোট একটি শিশি প্ৰদান করিলেন। “এবার যদি ভানুমতী ভাল না হয়, তাহা হইলে পুনরায় আসিয়া তোমাকে কাটিয়া ফেলিব।” এইরূপ ভয় দেখাইয়া রুস্তম সেস্থান হইতে প্ৰস্থান করিলেন। দুর্গ হইতে বাহির হইয়া রুস্তম পুনরায় পথ চলিতে লাগিলেন। যথা সময়ে তিনি ইরাণের রাজধানীতে উপস্থিত হইলেন। রাজধানীতে উপস্থিত হইবামাত্র রাজার সেনাগণ তাঁহাকে ধরিয়া রাজার নিকট লইয়া গেল। রুস্তমকে দেখিয়া রাজা ক্ৰোধে অধীর হইয়া পড়িলেন ও তৎক্ষণাৎ তাঁহাকে শূলে দিবার নিমিত্ত আজ্ঞা করিলেন। রুস্তম জোড়হাত করিয়া বলিলেন,- “মহারাজ ! আমাকে বধ করিলে আপনার কোন লাভ হইবে না; বরং আমি বঁচিয়া থাকিলে আপনার কন্যা আরোগ্যলাভ করিবে। গতবারে আমি একটি ভুল করিয়াছিলাম, সেজন্য সে বিড়ম্বনা ঘটিয়াছিল; কিন্তু এবার আমি ঠিক ঔষধ আনিয়াছি। সেই ঔষধ্যে আপনার কন্যা যদি ভাল না হয়, তাহা হইলে যাহা ইচ্ছা হয় করবেন।” GħħSR află zi»3 goi se - www.amarboi conf**