পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৫৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যখন আমাদের পিতাকে কাটিয়া কাকা জাদুবলে আমাদিগকে মুণ্ড ও কাক করিয়া ফেলেন, তখন আমরা অতি শিশু ছিলাম, সেইজন্য তখন দাই-মা আমাদের উদ্ধারের কোন উপায় করিতে পারেন নাই। দাই-মা বলিলেন যে, সাদির এখন বয়স হইয়াছে; এখন উদ্ধারের সময় আসিয়াছে। যাহা হউক সাদি! তোমার পক্ষিরাজ ঘোড়াটি তুমি রুস্তমকে প্ৰদান কর।” রুস্তমের দিকে চাহিয়া সাদি বলল,- “কাল প্ৰাতঃকালে তুমি এই বলিয়া আমার পক্ষিরাজ ঘোড়াকে ডাকিবে,- স্বর্ণখুর পক্ষিরাজ অশ্ব মনোহর। উডডাম ঈশ্বর আজ্ঞা আইস সত্ত্বর৷ এই মন্ত্রটি পাঠ করিলেই তোমার নিকট আমার সেই পক্ষীরাজ ঘোড়া আসিয়া যাইবে। পিতা আমাকে আদর করিয়া এই ঘোড়া দিয়াছিলেন। ঘোড়াকে তুমি চাবুক মারিবে না। যেস্থানে যাইতে ইচ্ছা করিবে, ঘোড়া আপনি তোমাকে সেইস্থানে লইয়া যাইবে । ঘোড়ার পৃষ্ঠে আরোহণ করিয়া তুমি জাদুগরের কেল্লায় গমন করিবে, তাহার পর তাহাকে ধরিয়া আপনার কোলের নিকট বসাইয়া তুমি ইরাণের রাজধানীতে উড়িয়া আসিবে।” রুস্তম জিজ্ঞাসা করিলেন, — “এতদিন ধরিয়া তোমরা কেবল আমার কাজ করিতেছ। কিন্তু তোমাদের উদ্ধারের উপায় কি?” তারা উত্তর করিল,- “সেজন্য তোমার কোন চিন্তা নাই। আমাদের উদ্ধার তোমার এই কাজ হইতেই হইবে।” পরদিন প্ৰাতঃকালে যখন সাদি নরমুণ্ড ও ত হইয়া গেল, তখন রুস্তম সেই পক্ষিরাজ ঘোড়াকে স্মরণ করিলেন,- SNర్ স্বর্ণখুর পক্ষিীরাজ আঁৰ মনােহর ৮৫%। উডডাম ঈশ্বর আজ্ঞা আইস সূত্র মন্ত্রটি উচ্চারণ করিবামাত্র অতি সুন্দর এক অশ্ব আসিয়া উপস্থিত হইল। সে ঘোড়ার বর্ণ সবুজ ছিল, ইহার খুর সোনার ছিল। পাখা দুইটিও সোনার ছিল ও নানারূপ বহুমূল্য প্রস্তরখচিত ছিল। রুস্তম ঘোড়ার পৃষ্ঠে উঠিয়া জাদুগরের দুর্গে যাইবার নিমিত্ত মনন করিল। তৎক্ষণাৎ ঘোড়া আকাশপথে বায়ুবেগে উড়িতে লাগিলেন। নিমিষের মধ্যে জাদুগরের দুর্গের দ্বারে আসিতো লাগিল। দ্বারের নিকট ঘোড়াকে রাখিয়া রুস্তম পূৰ্ব্বের ন্যায় দুর্গের ভিতর প্ৰবেশ করিলেন। কিছুদূর গিয়া সম্মুখে জাদুগর-গুরুকে দেখিতে পাইলেন। রুস্তম তাহার সহিত এবার আর কোনরূপ বাক্যালাপ করিলেন না। দুই হাতে একেবারে তাহাকে ধরিয়া বাহিরে লইয়া চলিলেন। জাদুগরের দেহ শুষ্ক ও লঘু ছিল। রুস্তম অনায়াসেই তাঁহাকে বাহিরে আনিয়া ঘোড়ার পৃষ্ঠে আরোহণ করিতে পারিলেন। জাদুগর বিষম ব্যাপার দেখিয়া হতবুদ্ধি হইয়া পড়িয়াছিল। রুস্তমের হাত ছাড়াইবার নিমিত্ত কোনরূপ চেষ্টা করিতে পারে নাই। ঘোড়ার পৃষ্ঠে উঠিয়া রুস্তম ইরাণ-রাজধানীতে গমন করিবান বাসনা করিলেন। ঘোড়া বায়ুবেগে উড়িয়া তৎক্ষণাৎ ইরাণিরাজের রাজসভায় আসিয়া উপস্থিত হইল। রাজা ও সভাস্থ সমস্ত ব্যক্তি পক্ষিরাজ ঘোড়া, রুস্তম ও জাদুগর-গুরুকে তৎক্ষণাৎ শৃঙ্খলাবদ্ধ করিবার নিমিত্ত রুস্তম রাজাকে অনুরোধ করিলেন। রাজাজ্ঞায় গুরুকে তৎক্ষণাৎ নিবিড়বন্ধনে আবদ্ধ করা হইল। কি জন্য জাদুগর-গুরুকে তিনি ধরিয়া আনিয়াছেন, রুস্তম তখন সে সমুদয় বৃত্তান্ত রাজার নিকট খুলিয়া বলিলেন। সেই সমুদয় বৃত্তান্ত শুনিয়া রাজা আশ্চৰ্য্য হইলেন; তাহার পর -8 দুনিয়ার পাঠক এক হও! ... www.amarboi.com"ির্থ্য","র্ণ মঠ"P**