পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৫৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পিঠে-পাৰ্ব্বণে চীনে ভূত প্ৰথম অধ্যায় ইঙ্গলা-পিঙ্গলা নাড়ী রাধামাধব গুপ্ত তাঁহার মাতুলের সহিত সাক্ষাৎ করিতে আসিয়াছেন। মাতুল ব্ৰহ্মদেশে কোন স্থানের ডাক্তার ছিলেন। অন্ত্রচিকিৎসায় তাহার বিশেষ নৈপুণ্য ছিল। লোকের হাত-পা কাটিয়া তিনি অনেক টাকা উপাৰ্জ্জন করিয়াছেন। সে টাকা তিনি খরচ করেন নাই, সঞ্চয় করিয়াছেন। সেজন্য তাঁহাকে একজন ধনবানু লোক বলিলেও বলিতে পারা যায়। বৃদ্ধবয়সে কৰ্ম্ম পরিত্যাগ করিয়া তিনি দেশে আসিয়াছেন। দেশে আসিয়া প্রথম তীর্থদর্শন করিয়া কিছুকাল অতিবাহিত করিয়াছিলেন। এখন তিনি কলিকাতায় আসিয়া বাসা করিয়াছেন। রাধামাধব সেই স্থানে তাঁহার সহিত সাক্ষাৎ করিতে আসিয়াছেন। রাধামাধব নিজেও পাশকরা ডাক্তার । , অন্য কোন স্থানে তিনি ডাক্তারী করেন। প্রথম প্রথম সেই স্থানে তাঁহার কাজী ভূস্ত্ররূপ চলিয়াছিল, কিন্তু এখন আর তাঁহার বনাই ছ। তাহার চারিটি কন্যা। বড় কন্যাটি ত্রয়োদশ X , আর রাখা যায়” না। তাহার বিবাহ দিতে অন্ততঃ দুই হাজার টাকা খরচ হইবে। সে টাকা কোথা হইতে আসিবে? বহুকাল পরে মাতুল দেশে আসিয়াছেন। তাঁহার সহিত সাক্ষাৎ করা। কৰ্ত্তব্য কাজ বটে। তাহা ব্যতীত রাধামাধব ভাবিলেন,- “মাতুল-মাতুলানীর পুত্ৰ-কন্যা নাই, আমি তাঁহাদের একমাত্র উত্তরাধিকারী। তাঁহাকে আমি আমার বিপদের কথা জানাইব। এখন কিছু যদি তিনি আমাকে সাহায্য করেন, তাহা হইলে বড় উপকার হয়।” মাতুল-মাতুলানীকে তিনি প্ৰণাম করিলেন। রাধামাধবকে তাহারা অনেক আদর করিলেন। নানারূপ সুখাদ্যের আয়োজন করিয়া মাতুলানী তাঁহাকে ভোজন করাইলেন। এইরূপে একদিন, দুই দিন, তিন দিন কাটিয়া গেল। কিন্তু এখনও তিনি টাকার কথা তুলিতে পারিলেন না। সে কথা মুখে আনিতে তাঁহার লজ্জা বোধ হইল। অনেকবার সেই কথা ঠোঁটের আগায় আনিয়াও তিনি বলিতে পারিলেন না। লজ্জা ব্যতীত একথা না বলিবার আর একটি কারণ ছিল। তিনি দেখিলেন যে, তাহার মাতুল-মাতুলানী দুইজনেরই শরীর সুস্থ নহে। দুইজনেরই শরীর শীর্ণ হইয়া গিয়াছে, মুখে যেন কালি মাড়িয়া দিয়াছে। দুইজনেই সৰ্ব্বদা অতি বিমৰ্ষভাবে থাকেন। মনে যেন সৰ্ব্বদাই কিরূপ একটা ভয়—কিরূপ 巫函穷政 trO sNAls viði (SS BS! ro www.amarboi.com ro