পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৬০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মেঘের কোলে বিকিমিকি । সতী হাসে ফিকিফিকি প্ৰথম অধ্যায় আশ্চৰ্য্য ছবি হৃষীকেশ রায় কলিকাতার আর্ট স্কুলে অধ্যয়ন করেন। এই বিদ্যালয়ে বালকেরা ছবি আঁকিতে শিক্ষা করে। ছবি আঁকা ভিন্ন হৃষীকেশ। ফটোগ্রাফ লাইতে অর্থাৎ আলোক-যন্ত্রের সহায়তায় মানুষের চেহারা তুলিতে শিক্ষা করিয়াছিলেন। গ্ৰীষ্মের ছুটি পাইয়া হৃষীকেশ বাটী আসিয়াছিলেন। তাঁহার নিবাস রামদেবপুর। পূৰ্ব্বে এই গ্রামে অনেক লোকের বাস ছিল। ম্যালেরিয়ার উপদ্রবে গ্রামখানি এক্ষণে জনশূন্যপ্ৰায় হইয়াছে। হৃষীকেশের পিতা দর্পনারায়ণ রায় মহাশয় এক্ষণে গ্রামের মধ্যে প্ৰধান ব্যক্তি। তিনি নিজে অনেক অর্থ উপাৰ্জ্জন করিয়া ধনবান হইয়াছেন। নিকটস্থ কােন গ্রামের একজন লােক তীহার শৃিঙ্গুলীর ছবি তুলিবার নিমিত্ত হৃষীকুেশকে গুগ্লম চেহারা তুলিবার যন্ত্র ও ছবি আঁকিবার চাকায় চড়িয়া সেই গ্রামে গমন করিলেন ইষ্ট’কাচে উপর হৃষীকেশ বালকের ছায়া গ্ৰহণ করিলেন! নিমিত্ত যন্ত্র হইতে কাচখানি তিনি অতি সাবধানে বাহির করিলেন!! আশ্চৰ্য্য! কাচের উপর বালকের মুখশ্ৰী অঙ্কিত হয় নাই। কাচের উপর এক পরমা সুন্দরী বালিকার প্রতিবিম্ব পড়িয়াছে। নিকটে কোন বালিকা ছিল না। কাচের উপর বালিকার মুখশ্ৰী কি করিয়া উঠিল? এরূপ অদ্ভুত ঘটনা কেহ কখন দেখে নাই, কেহ কখন শুনে নাই। বিস্ময়ে হৃষীকেশ স্তম্ভিত হইলেন। তাহার পর এরূপ রূপও কেহ কখনও দর্শন করে নাই । ছবিতে সেই মুখশ্ৰী দেখিয়া হৃষীকেশের মন মোহিত হইল। এরূপ দেবকন্যাসমা বালিকা কি পৃথিবীতে আছে? মানুষের এরূপ অসামান্য রূপ কি হইতে পারে? যাই হউক, এই ছবির উপর আমি আমার প্রাণ সঁপিলাম। যদি পৃথিবীতে থাকে, যদি সে আমার স্বজাতি হয়, যদি আমি তাহাকে পাই, তাহা হইলে আমি সংসার-ধৰ্ম্ম করিব। নতুনবা সন্ন্যাসী হইয়া দেশে দেশে ভ্ৰমণ করিব। গ্ৰীষ্ম বর্ষায় নানা ক্লেশে শরীরকে ক্লিষ্ট করিয়া অবশেষে সাদরে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করিব । “হৃষীকেশ!! ছবি কি ভাল উঠে নাই?” বালকের পিতা এই কথা জিজ্ঞাসা করিলেন। চমকিত হইয়া হৃষীকেশ উত্তর করিলেন, — “না। আমার যন্ত্র বেকল হইয়া গিয়াছে। আজ আর ছবি হইবে না। আজ আমি বাড়ী যাই।” WESFifig gy Szove, sNAls viði (SS BS! ro www.amarboi.com ro