এই লেখায় এই অংশে একটি চিত্র থাকা উচিৎ। যদি আপনি তা দিতে পারেন, তবে, দয়া করে উইকিসংকলন:ছবি ব্যবহারের নির্দেশাবলী এবং সাহায্য:চিত্র যোগ দেখুন। |
খলীফা সাহেবের ঘরে উপস্থিত হইলেন। খলীফা তখন অন্দরমহলে ছিলেন।
কাঁকড়া মহাশয় বাহির হইতে ডাকিলেন,— “খলীফা সাহেব! খলীফা সাহেব!”
ভিতর হইতে খলিফা উত্তর দিলেন,— “কে হে! কে ডাকাডাকি করে?”
কাঁকড়া মহাশয় উত্তর করিলেন,— “আমি কাঁকড়াচন্দ্র! একবার বাহিরে আসুন, বিশেষ কাজ আছে।”
খলীফা বাহিরে আসিলেন। কাঁকড়াচন্দ্রকে দেখিয়া অতি সমাদরে তাহাকে অভ্যর্থনা করিলেন।
খলীফা বলিলেন,— “আসুন, আসুন, কাঁকড়াবাবু আসুন! আর এই যে কচ্ছপবাবুকেও দেখিতেছি! কচ্ছপবাবু! আপনি ঐ টুলটিতে বসুন, আর কাঁকড়াবাবু! আপনি ঐ চেয়ারখানি নিন! এ মেয়েটিকে বসিতে দিই কোথায়! দিব্য মেয়েটি! কাকড়া! এ কন্যাটি কি আপনার?”
কাঁকড়চন্দ্র উত্তর করিলেন,— “না, এ কন্যাটি আমার নয়, আমি বিবাহ করি নাই। ওঁর জন্যই এখানে আসিয়াছি। ওঁরে আমরা আমাদের রাণী করিয়াছি। এক্ষণে রাজ-পরিচ্ছদের প্রয়োজন। তাই আপনার নিকট আসিয়াছি। ঐর জন্য অতি উত্তম রাজ-পরিচ্ছদ প্রস্তুত করিয়া দিতে হইবে।”
খলীফা উত্তর করিলেন,— “রাজ-পরিচ্ছদ প্রস্তুত করিতে পারি। আমার কাছে রেশম আছে, পশম আছে, স্যাটিন আছে, মায় বারাণসী কিংখাপ পর্যন্ত আছে। কিন্তু রাজ-পোষাক তো আর অমনি হয় না? তাতে হীরা বসাইতে হইবে, মতি বসাইতে হইবে। জরি-লেস প্রভৃতি ভাল ভাল