পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৬১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ অধ্যায় পরদিন প্ৰাতঃকালে বিনয়ের উঠিতে বিলম্ব হইয়াছিল। শয্যা হইতে উঠিয়া মুখ-হাত ধুইয়া সে পিতামহের নিকট যাইবার নিমিত্ত প্ৰস্তুত হইল। তাঁহার মুখ দেখিয়া বিনয় বিস্মিত হইল। আনন্দে তাহার মুখখানি প্ৰফুল্ল হইয়াছে। তাহার পর, হাড় মহাশয়ের মুখে সেইরূপ আহাদের লক্ষণ দেখিতে পাইল। বৃন্দাবনের মুখেও সেইরূপ আনন্দের চিহ্ন। হাড়-বীেয়ের মুখেও সেইরূপ গ্ৰীতি-প্ৰফুল্লতার লক্ষণ। তাহার পর, বড় হড় বড় হড়নীর সঙ্গে, ছোট হাড় ছোট হড়নীর সঙ্গে ফুসফুস করিয়া কথা ও হাসি হইতে লাগিল। কিসের এত আনন্দ? বিনয় তাহা স্থির করিতে পারিল না। একবার হাড় মহাশয় হড়নীকে ইঙ্গিত করিয়া বলিলেন, — “বলা হরি! হরিবোল! এবার আর সন্দেহ নাই।” ইহার অর্থ কি? বিনয় কিছু বুঝিতে পারিল না। অল্পক্ষণ পরে ঝিকে নিভৃতে পাইয়া বিনয় জিজ্ঞাসা করিল,— “হড় মহাশয় এত আমোদ করিতেছেন কেন?” ঝি উত্তর করিল,- “কৰ্ত্তা আর রক্ষা পাইবেন না, আজ কি কাল। একধামা টাকা পাইলে কার না আনন্দ হয়? যার যেমন কপাল! বাপ-মায়ের আমি একপয়সা পাই নাই, আর ইহারা পরের ধনে রাজা হইল। আহাদে তাই সব ফুটিফাটা হইতেছে।” কান্দ-কাদ মুখে বিনয় জিজ্ঞাসা করিল,— :: বাড়িয়াছে?” ঝি উত্তর করিল,- “তা জানি না। তবে কাল ঠাকুর পড়িয়া গিয়াছে।” ঝি উত্তর করিল,- “তুমি তুমি সে সব কথা কিছু বুঝিবে না।” বিনয় তবুঝিকে ছাড়িল না। বারাষ্ট্রর সে সেই কথা জিজ্ঞাসা করিতে লাগিল। অবশেষে ঝি বিরক্ত হইয়া বলিল,- “জান না, এ বাটীতে আধগড়া ঠাকুর পড়িয়া গেলে মানুষ মরিয়া যায়? প্ৰথমবার যখন পড়িয়া গিয়াছিল, তখন কৰ্ত্তার পিসী মরিয়াছিলেন। তাহার পর আর একবার ঠাকুর পড়িয়াছিল, তাহাতে তোমার ঠাকুরমা গিয়াছিলেন। তাহার পর আর একবার পড়িয়াছিল, তাহাতে তোমার বাবা মরিয়াছিলেন। তাহার পর আর একবার পড়িয়াছিল, তাহাতে কৰ্ত্তার দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী, হাড় মহাশয়ের মেয়ে মরিয়াছিলেন। সেইজন্য খুব মোটা দড়ি দিয়া ঠাকুর বাধা থাকে, আর পাছে ইন্দুর কাটে, সেইজন্য দড়ির উপর আলকাতরা মাখানো থাকে। এত সাবধানেও যখন ঠাকুর পড়িয়াছে, তখন আর রক্ষা নাই। মা এবারে কৰ্ত্তাকে না লইয়া ছাড়িবেন না।” বিনয় ভাবিতে লাগিল—তবে ঠাকুরদাদা আমাকে দড়ি কাটিতে বলিলেন কেন? কিছুক্ষণ পর রায় মহাশয় বিনয়কে ডাকিতে পাঠাইলেন। ঘর হইতে আর সকলকে বাহির করিয়া দিয়া তিনি বিনয়কে ডাকিতে পাঠাইয়াছিলেন। পিতামহের নিকট গিয়া ছল-ছল চক্ষে বিনয় বলিল,- “ঠাকুরদাদা! তবে তুমি আমাকে ঠাকুর ফেলিয়া দিতে কেন বলিয়াছিলে? সকলে বলিতেছে যে, ঠাকুর যখন পড়িয়া গিয়াছে, তখন আর কৰ্ত্তা কিছুতেই বাঁচবেন না।” রায় মহাশয় বলিলেন,- “সে যাহা হউক, হাড়েরা এখন কি করিতেছে, তাহা বল?” বিনয় উত্তর করিল,— “ঠাকুর পড়িয়া গিয়াছে, তুমি আর নিশ্চয় বঁচিবে না, সেজন্য ଅys୍ ୩ୟ୍ଯ sNAls viði (SS BS! ro www.amarboi.com ro V9XV9