পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৬৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সারসিতে এরূপভাবে সে আপনার নাসিকা চাপিয়া ধরিয়াছিল যে, তাহাতে নাক একবারে চেপৃটাি হইয়া গিয়াছিল। এরূপ লোক এ গ্রামে কেহ আছে?” বড়ালমহাশয় বলিলেন, — “না, আমি কিছু বুঝিতে পারিলাম না।” পরদিন গ্রামে কোন লোকের বাড়ীতে পাঠা বলিদান হইয়াছিল। রাত্রিতে অনেকগুলি বন্ধুকে সে নিমন্ত্ৰণ করিয়াছিল। আহারাদির পর একজন লোক বাটি করিয়া একটু রাধা মাংসা লইয়া যাইতেছিল। বর্ষাকাল । অন্ধকার রাত্রি। বামহাতের উপর পাঠার বাটি রাখিয়া দক্ষিণহস্তে লাঠির শব্দ করিতে করিতে কাদা-কিচা ভাঙ্গিয়া লোকটি আস্তে আস্তে যাইতেছিল। পথে একটি হেলা বেলগাছ হইতে কে "খুপ” করিয়া তাহার হাত হইতে পাঠার বাটিটি তুলিয়া লইল। ভয়ে আউমাউ করিয়া সে রুদ্ধশ্বাসে পলায়ন করিল ও কিছুদূর গিয়া একেবারে অজ্ঞান হইয়া পড়িল । নদীর নিকট গ্রাম। গ্রামের ভিতর তখন বান আসিয়াছিল। মাঝে মাঝে ভূমি উচ্চ করিয়া তাহার উপর লোকে গৃহ নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিল। লোকের বাটীগুলি যেন দ্বীপের ন্যায় হইয়াছিল। নিকটস্থ কয়েক বাটী হইতে লোক দীেড়িয়া আসিল । অনেক কষ্টে সেই ভয়প্রাপ্ত লোককে তাহারা সচেতন করিল। সে রাত্রিতে বেলগাছের দিকে যাইতে কেহ সাহস করিল না। পরদিন প্ৰাতঃকালে সকলে দেখিল যে, বেলতলায় কাসার বাটিটি পড়িয়া আছে। মাংসাটুকু ভূত চাটিয়া-পুটিয়া খাইয়াছে। তাহার পর দুইদিন সন্ধ্যার পর দুইজন গ্রামবাসীর সহিত ভূতটির সাক্ষাৎ হইল। তাহারা অবশ্য ঘোরতর ভীত হইয়া চীৎকার করিতে করিতে তুহার নিকট হইতে পলায়ন করিল। সেইদিন হইতে গ্রামের লোক সন্ধ্যার পর আর কেহ।। ऊ दांशिद्ध ट्रेऊ न्ी । काश्ी क्षेळ्ञ्श्रे তাহার নাক নাই । দুইদিন পরে বিষম বর্ষা আরম্ভ ঘোর দুৰ্যোগ। রাত্রিদিন টিপু টিপু করিয়া জল পড়িতে লাগিল। মাঝে মাঝে মুষলধারে বৃষ্টি আসিতে লাগিল। আকাশ ঘোর মেঘাচ্ছন্ন হইয়াছিল। বাতাসের শো-শো ও বৃষ্টি-ঝাপটের চট্ট চট্ট শব্দে পৃথিবী কম্পিত হইতেছিল। নদীতে আরও প্রবলবেগে বান আসিল। গ্রাম পূৰ্ব্ব অপেক্ষা আরও গভীরভাবে প্লাবিত হইল। এক একটি উচ্চ স্থানের গৃহগুলিকে দ্বীপের ন্যায় দেখাইতে লাগিল। চারিদিকে প্রশস্ত বাগান দ্বারা পরিবেষ্টিত রায়মহাশয়ের বৃহৎ অট্টালিকা উচ্চ ভূমিতে ছিল। তাহার ভিতর নদীর জল কখন প্রবেশ করে নয় { শো শো, ভোঁ ভো, চট্ট চট্ট, পটু পটু,-ঝড় ও জলের শব্দ। একে বান, তাহাতে ভূতের ভয়, তাহাতে ঘোর দুৰ্য্যোগ। আজ দিনের বেলাতেই ঘর হইতে কেহ বড় বাহির হয় নাই। মানুষের কথা দূরে থাকুক, জীব-জন্তু কাক-পক্ষীও আজ আহারান্বেষণে বাহির হয় নাই। সন্ধ্যা হইল, নিবিড় অন্ধকারে পৃথিবী আচ্ছন্ন হইয়া পড়িল। রাত্রি দুই প্রহর অতীত হইয়াছে। এমন সময়ে সেই বৃষ্টির শব্দ ভেদ করিয়া আর একপ্রকার শব্দ উত্থিত হইল। রায়মহাশয়ের বাটীর নিকট একটি বৃহৎ তেঁতুল গাছ আছে। সেই তেঁতুল গাছের নিবিড় শাখাপল্লবের ভিতর হইতে এই ভয়াবহ শব্দ উখিত হইল। “হু হু! হু হু! হু হু হু!” শব্দটা এইরূপ। কিন্তু অতি ভয়াবহ শব্দ। অতি ভীষণ শব্দ। w88 দুনিয়ার পাঠক এক হও! ~ www.amarboi.comখ্রিসার্ক"*********