পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৬৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তিনি স্বতন্ত্র থাকিতেন। এতক্ষণ তিনি বোধ হয় আপনার ঘরে ছিলেন। যাহা হউক, প্ৰাতঃকালে উঠিয়া আমরা তাঁহাকে দেখিতে পাইলাম না। শিবের মন্দিরে সন্ন্যাসীকেও কেহ। দেখিতে পাইল না। আমরা বুঝিলাম যে, তাহারা দুইজনে কোথায় চলিয়া গিয়াছেন।” রায়মহাশয় জিজ্ঞাসা করিলেন,- “তাহার পর?” বড়ালমহাশয় উত্তর করিলেন,- “সোনা-বীে যে বাটী পরিত্যাগ করিয়া কোথায় চলিয়া গিয়াছেন, সে কথা রাজাবাবু আমাদিগকে প্রকাশ করিতে মানা করিলেন। সমুদয় জিনিষপত্র ও গেলেন। এক্ষণে কথা এই, সে নাক কোথায়?” অষ্টম অধ্যায় সে নাক কোথায় রায়মহাশয় বিস্মিত হইয়া বলিলেন,- “সে নাক কোথায়?” বড়ালমহাশয় বলিলেন, — — “হী! সে নাক ? যাইবার সময় রাজাবাবু আমাকে বলিয়া গেলেন, — “যে স্থানে ঐ নরাধম। আর ঐ পাপীয়সী যাইবে, সেই স্থানে আমিও যাইব । সকলকে ইহাদের পাপের কথা বলিব । ইহাদিগকে ঘূণিত করিব। কোন স্থানে ইহাদিগকে সুখে বাস করিতে দিব না। ইহাষ্ট্রের জীবন অসহ্য করিয়া তুলিব।” যাইবার সময় মরিয়া গিয়াছে। মরিয়া ভূত হইয়াছে। ভূত হইয়া আপনার নাকের জন্য সে আসিতেছে। ভাদ্রমাসে কালা বাবা নদীর বানে ডাসিয়া আসিয়াছিল। ভাদ্রমাসে তাহার নাসিকা ছেদন হইয়াছিল। গত ভদ্রমাসে তাহার ভূত নাসিকার জন্য আসিয়াছিল। এক্ষণে নাকটি পাইলেই সে সন্তুষ্ট হইয়া চলিয়া যাইবে। আমাদের প্রাণও বঁচিয়া যাইবে। এখন সে নাক কোথায়?” রায়মহাশয় উত্তর করিলেন,- “রাজাবাবু নানা স্থান হইতে মাঝে মাঝে আমাকে পত্র লিখিতেন। কিন্তু সে তাঁহার বিষয় সম্বন্ধে, নাকের বিষয় তিনি কিছু লেখেন নাই। তবে বীরু একবার আমাকে লিখিয়াছিল যে, সেঁকো বিষ প্রভৃতি মসলা দিয়া রাজাবাবু নাকটিকে টাটকা অবস্থায় রাখিয়াছেন, ইহা পচিয়া যায় নাই। তাহার পর সোনা দিয়া তাহাকে তিনি বাধাইয়াছেন। হারের ন্যায় চেন করিয়া সেই নাক তাহাতে তিনি সংলগ্ন করিয়াছেন। চেনসম্বলিত সেই নাক কখন তিনি গলায় পরিধান করেন, কখন বা বাক্সর ভিতর অতি যত্নে রাখিয়া (नन ।।” রায়মহাশয় বলিলেন,- “মৃত্যুকালে তাঁহার নিকট আমি ছিলাম না। আমার ভ্রাতা বিজয় তাহার নিকট ছিল। বাক্সর চাবি তিনি বিজয়কে দিয়াছিলেন। বাক্সর ভিতর যে টাকা ছিল, তাহা লইয়া বিজয় তাহার শ্ৰাদ্ধ করিয়াছিল।” W96łR দুনিয়ার পাঠক এক হও! ৩ www.amarboi.comশ্মির্ত্যািক্যনাথ *******