পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৬৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বড়ালমহাশয় বলিলেন, — “বসন্ত রোগ দ্বারা আক্রান্ত হইয়া রাজাবাবু আমাকে এক পত্ৰ লিখিয়াছিলেন। তাঁহাই তাহার শেষ পত্র। সেই পত্রে বিজয়বাবুর তিনি অনেক সুখ্যাতি করিয়াছিলেন, আর উইল করিয়া সম্পত্তি তাহাকে দিয়া যাইবেন, এই কথা আমাকে লিখিয়াছিলেন।” রায়মহাশয় বলিলেন,- “বিজয় তখন অজ্ঞ যুবক ছিল। পৃথিবীর বিষয়ে সে কিছুই জানিত না। আমরা নিষ্পর। উইল লইয়া যদি মকদ্দমা হয়, তাহা হইলে বিজয় সে বিবাদে কৃতকাৰ্য হইবে না। বিষয় পাইলেও সে রক্ষা করিতে পরিবে না। এইরূপ ভাবিয়া-চিন্তিয়া বেণীবাবু শেষে আমার নামে উইল করিলেন।” বড়ালমহাশয় বলিলেন, — “তাহার বাক্সতে নাক ছিল। নাকের বিষয় বিজয়বাবু বোধ হয় বলিতে পরিবেন।” রায়মহাশয় বলিলেন,- “কল্যই আমি কলিকাতায় বিজয়ের নিকট গমন করিব। বিজয় নাক লইয়া কি করিবে? যদি ফেলিয়া দিয়া না থাকে, তাহা হইলে তাহার নিকট হইতে নাক আনিয়া খাদা ভূতকে প্রদান করিব।” বড়ালমহাশয় বলিলেন,- “আমার নিশ্চয় বােধ হইতেছে যে, নাক পাইলে খাদা ভূত আর আমাদিগের উপর উপদ্রব করিবে না।” রায়মহাশয় জিজ্ঞাসা করিলেন,- “সোনা-বীে কোথায় গেলেন? বীরুই বা কোথায় গেল? এ স্থান হইতে প্ৰস্থান করিলে পরে কি হইল?” বড়ালমহাশয় বলিলেন, — “বীরু মাঝে মাঝে পত্র দিত। তাহার পত্ৰ পাঠ করিয়া আমি অবগত হইলাম যে, কালা বাবা ও প্রথম কাশী গিয়াছিলেন। কিন্তু রাজাবাবু যখন সেই স্থানে গিয়া উপস্থিত হইলেন, রা। কাশী পরিত্যাগ করিয়া বেরিলি নামক নগরে পলায়ন করিলেন। রাজাবাবুও তাঁহাঙ্গের পশ্চাৎ পশ্চাৎ সেই স্থানে গমন করিলেন। তখন করিলেন। তাহার পর রাজাবাবু তাহাদের কোন সন্ধান পাইলেন না। বদ্যিনাথ, কেদারনাথ দৰ্শন করিয়া রাজাবাবু হরিদ্বারে আসিলেন। সেই স্থানে বিসূচিকা রোগ দ্বারা আক্রান্ত হইয়া বীরুর মৃত্যু হইল। রাজাবাবু তাহার পর, আপনি যে স্থানে ছিলেন, সেই স্থানে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। সেই স্থানে তাহার পরলোক হইল। খাদা ভূতের আগমনে বুঝিলাম যে, কালা বাবার মৃত্যু হইয়াছে। কিন্তু সোনা-বীে আছেন কি নাই; যদি থাকেন তাে কোথায় আছেন, কি করিতেছেন, তাহার আমি কিছুই জানি না।” পরদিন রায়মহাশয় কলিকাতা গমন করিলেন। বিজয়বাবু এখন ধনবান লোক। বৃহৎ বাটীতে বাস করেন। নানা প্রকার মূল্যবান দ্রব্যে তাঁহার গৃহ সুসজ্জিত। লোক-জন চাকরনফরে তাঁহার বাড়ী পরিপূর্ণ। সকলের মুখে রায়মহাশয় তাহার সুখ্যাতি শ্রবণ করিলেন। বিজয়বাবুর স্ত্রী সতীলক্ষ্মী, দয়াময়ী। তাহার নাম অন্নপূর্ণা, কাজেও তিনি তাই, সকলের তিনি মী-জননী। বিজয়বাবুর একটি পুত্র হইয়াছে। তাহার বয়স ছয় বৎসর। ছেলেটি দেখিতে যেন রাজপুত্র। তাহার মৃদু-মধুর কথা শুনিলে হৃদয় শীতল হয়, বিজয়ের সুখ ঐশ্বৰ্য, বিশেষতঃ মনে শান্তি দেখিয়া ও সেই সঙ্গে নিজের অবস্থা ভাবিয়া রায় মহাশয় একটি দীর্ঘ নিশ্বাস পরিত্যাগ করিলেন । বিজয়বাবু জ্যেষ্ঠভ্রাতাকে বিশেষরূপে অভ্যর্থনা করিলেন। দুই ভ্ৰাতা একত্ৰ বসিয়া নানারূপ পাপের পরিণাময় sNAls viði (SS BS! ro www.amarboi.com ro G6√S