পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৬৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূত আসিয়া উপস্থিত হইল। “মা গো” বলিয়া চীৎকার করিয়া সদৃগোপনী ঘরের ভিতর পলায়ন করিল ও দ্বার বন্ধ করিয়া দিল। সে রাত্রি সে আর ঘরের ভিতর হইতে বাহির হইল। না। পরদিন প্ৰাতঃকালে সে দেখিল যে, খাদা ভূত তাহার ভাত-দলি ও ব্যঞ্জন লইয়া গিয়াছে। হাঁড়ি, মালসা ও সারা করিয়া সমুদয় দ্রব্য সে লয় নাই। নিভৃতে মাঠে লইয়া খাদা ভূত ভাতব্যঞ্জন আহার করিয়াছিল। পরদিন সকলে দেখিল, সে হাঁড়ি, মালসা ও সারা সেই স্থানে পড়িয়া আছে। দুইদিন পরে খাদা ভূত যথারীতি রাত্রি দুই প্ৰহরের সময় হাঁক দিল। খাদা ভূত গ্রামে আসিয়াছে শুনিয়া রায় মহাশয় ছাদের উপর লোক রাখিয়াছিলেন। সেজন্য ছাদের উপর এবার সে হাঁক দিতে পারিল না। তাঁহার বাগানে দাড়াইয়া সে হুহুঙ্কার করিল। রায়মহাশয়ের স্ত্রীর ভগিনীর বিধবা কন্যা, অর্থাৎ বোনঝি, এই সংসারে বাস করিতেছিলেন। দুইটি কন্যা লইয়া তিনি আসিয়াছিলেন। একজনের নাম সুচিন্তা, তাহার বয়ঃক্রম দ্বাদশ বৎসর। অপর কন্যার নাম সুবালা, বয়ঃক্রম ছয় বৎসর। সুচিন্তার বিবাহ হইয়াছিল, কিন্তু এখনও সে শ্বশুরালয়ে ঘর করিতে যায় নাই। জামাতা মধ্যে মধ্যে রায়মহাশয়ের বাটীতে আসিতেন। এ বৎসর ভূতের হাঁকের পর সুচিন্তার প্রসববেদনা উপস্থিত হইল। তিনদিন ঘোরতর কষ্ট পাইল; কিছুতেই প্রসব হইতে পারিল না। সেই যন্ত্রণায় তাহার মৃত্যু হইল। ডাক্তার বলিল,— “কিন্যাটি নিতান্ত বালিকা। এত অল্পবয়সে গর্ভ হইলে তাহার ফল। এইরূপ হইয়া থাকে।” বালিকার যন্ত্রণার কথা শুনিয়া রায়মহাশয়ের দুঃখ ও রথ হইল। বালিকার মাতাকে ডাকিয়া ऊिनि ललित्लन,- ‘जाभात मिखाद्ध कमा ७ আমি নিজে পক্ষাঘাত রোগ দ্বার আক্রান্ত হইয়া_ভজঠুর 26S অন্যত্র গমন কর। তাহা না করিলে তুমি ་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་ বোনুঝি উত্তর করিলেন,- আঙ্গুষ্ট প্রাণ গেলেই কি আর থাকিলেই কি? খাদা-ভূতকে আমি ভয় করি না! ভাবনা সুবালার জন্য। তাহার কাকার নিকট আমি যাইতে পারি। কিন্তু তাহার স্ত্রীর সহিত আমার বানিবে না। তাঁহার স্ত্রী মন্দ লোক নহেন। কিন্তু তাঁহার গলগ্ৰহ হইয়া আমি থাকিতে ইচ্ছা করি না। তাহার পর এ স্থানে আপনার ও মাসীমায়ের শরীর ভাল নহে, আপনাদিগকে ছাড়িয়াও আমি যাইতে ইচ্ছা করি না। বর্ষাকালে বিশেষতঃ ভদ্রমাসে ভূতের উপদ্রব হয়। শ্রাবণ, ভাদ্র, আশ্বিন,-এই তিনমাস আপনি যদি সুবালাকে তাহার কাকার নিকট রাখেন, তাহা হইলে ভাল হয়। কিন্তু বারোমাস তাহাকে ছাড়িয়া আমি থাকিতে পারিব না। বৎসরের বাকী কয় মাস সে আমার নিকট থাকিবে ।” বোনঝির দেবীর অর্থাৎ সুবালার কাকার সহিত রায় মহাশয়ের আলাপ-পরিচয় ছিল না। অতি দূরসম্পর্ক-স্ত্রীর ভগিনীর কন্যার দেবর। তিনি কখনও রায় মহাশয়কে দেখেন নাই। যাহা হউক, পত্র লিখিয়া ও বড়ালমহাশয়কে পাঠাইয়া রায় মহাশয় স্থির করিলেন যে, আগামী শ্রাবণ মাসে সুবালা তাহার কাকার নিকট গমন করিবে। সে স্থানে সুবালা শ্রাবণ, ভাদ্র ও আশ্বিন এই তিন মাস থাকিবে, তাহার পর রায় মহাশয়ের বাটীতে মাতার নিকট ফিরিয়া আসিবে। এক বৎসর কাটিয়া গেল। শ্রাবণ মাস আসিল । কিন্তু কাকার নিকট সুবালার যাওয়া হইল। না। সুবালার মাতা গ্ৰহণী রোগ দ্বারা আক্রান্ত হইলেন। সকলে তাঁহার জীবনের আশা পরিত্যাগ করিল। কাজেই সুবালাকে মাতার নিকট থাকিতে হইল। "*" firls six g3 8.8l www.amarboicom a GR