পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৬৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সকলেই এখন পরিতেছে।” দিতেছে। যাহাদের নাই, তাহারা ইহার জন্য লালায়িত হইয়াছে। পৃথিবীর রহস্য কিছু বুঝিতে পারা যায় না। সে যাহা হউক, তোমার পিসে মহাশয় বড়াল। বড়াল কি কখনও কায়স্থ হয়?” ধনুকধারী উত্তর করিল,— “বড়াল নহে, বটব্যাল। লোকে বড়াল বলে। বটব্যাল একটা গ্রামের নাম। তোমাদের যেমন খড়দহ। সেই গ্রামের নাম হইতে পিসে মহাশয়ের পদবী হইয়াছে। বড়াল ব্ৰাহ্মণ আছে, বণিক আছে, কায়স্থও আছে।” ব্ৰাহ্মণ বলিল,— “তা যেন হইল, কিন্তু ব্ৰাহ্মণ দেখিয়া প্ৰণাম করিবে না কেন?” ধনুকধারী উত্তর করিল,- “সে এখন উঠিয়া গিয়াছে। বিশেষতঃ আমি দত্ত। দত্ত কাহারও ভৃত্য নহে। কায়স্থ, নামের পূৰ্ব্বে আর “দাস” লিখিবে না। দাস ঘোষ, দাস বােস, এসব এখন উঠিয়া যাইবে। আমরা রামের জাতি, কৃষ্ণের জাতি, তােমাদিগকে এখন আমাদের পায়ে—না, আর অধিক কথার প্রয়োজন নাই, সেকেলে গোড়ার রাগ করবে।” এই বলিয়া ধনুকধারী গজ গজ করিতে করিতে সেস্থান হইতে চলিয়া গেল। ছবি অঙ্কন শেষ হইল। বিনয় কলিকাতায় প্রত্যাগমন করিলেন। রায়ণী সুবালার কাকাকে পত্ৰ লিখিলেন,- “আমার ছবি আঁকিতে বিনয় বলিয়া যে ছেলেটি আসিয়াছিল, সে অতি ভাল ছেলে। তাহার রূপে ও গুণে আমি মুগ্ধ হইয়াছি। কিন্তু তোমাদের কিরূপ বংশ, তাহার কিরূপ বংশ, সে সকল কথা আমি জানি না। তাহার মামার তোমাদের গ্রামে। যদি কোন আপত্তি না থাকে, তাহা হইলে সুবালার সহিত তাহার ? আমার শরীর ভাল নহে। কাসি কিছুতেই ভাল হইতেছে না। দিন দিন আমি কৃশু ও হইয়া পড়িতেছি। কোন একটি ভাল ছেলের হাতে সুবালাকে সমর্পণ করিয়া যাইক্রোন্তৰ্গরিলে আমি সুখে মরিতে পারি।” বাস্তবিক রায়ণীর শরীরের অবস্থা মন্দ হইতে মন্দতর হইতে লাগিল। ডাক্তারে বলিল যে, তাহার ক্ষয়কাস হইয়াছে, তুষ্টব্য আশু বিপদের আশঙ্কা নাই। বড়ালমহাশয়ের প্রাণ উড়িয়া গেল”। কিরূপে আর দুইটা বৎসর তাঁহাকে বঁাচাইয়া রাখিবেন, সেজন্য তিনি ভাবিত হইলেন। ডাক্তারদিগের নিকট অনেক মিনতি করিলেন। ডাক্তারগণ বলিল,— “ভগবান ভিন্ন মানুষের কেহ প্ৰাণ দিতে পারে না। দুই বৎসর দূরে থাকুক, একদিনের জন্য কেহ কাহারও পরমায়ু বৃদ্ধি করিতে পারে না। কোন কোন রোগ ঔষধ প্রয়ােগ করিয়া বড়জোর ঘণ্টা কয়েক মানুষকে জীবিত রাখিতে পারা যায়, কিন্তু তাহাও সন্দেহ।” রায়-গৃহিণীর প্রথম ডাক্তারী চিকিৎসা হইল। কোন ফল হইল না। তাহার পর হােমিওপ্যাথি চিকিৎসা হইল, কিছুই হইল না। অবশেষে কবিরাজী চিকিৎসা হইল। কলিকাতা হইতে অনেক বৈদ্য আসিলেন। রোগীকে তাহারা বুড়ি ঝুড়ি রংকরী কুইনাইনের বড়ি খাওয়াইলেন। বাগিনীর দুগ্ধ, গণ্ডরের পিত্ত প্রভৃতি অনেক প্রকার সুলভ অনুপানের ব্যবস্থা করিলেন। বড়ালমহাশয় প্ৰাণপণে সে সমুদয় বস্তু আহরণ করিলেন। অবশেষে একজন বড় কবিরাজ আসিয়া বলিলেন—“যদি কুন্তীরের মাথার চুলের সাত শত একান্নটি উকুন আনাইতে পারেন, তাহা হইলে রোগিণীকে আমি রোগ হইতে মুক্ত করিতে পারি।” বড়ালমহাশয় এইবার পরাস্ত হইলেন। সে বস্তু তিনি আনিতে পারিলেন না। এরূপ অনায়াসলভ্য দ্রব্য যদি না আনাইতে পারিলেন, তাহা হইলে রোগিণী কি করিয়া ভাল হইবেন! সুবালার কােকা মহাশয় রায়-গৃহিণীর পত্ৰ পাইলেন। বিনয়ের বংশপরিচয় কাকমহাশয় প্রথম ՖԳՀ fi:Ilă zi, o ga se - www.amarboi conf**