পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৭০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উঠিল,— “বঁল, বঁল, সর্ত্য কথা বঁল, না বঁলিলে এখনি তীের ঘাড় মটকাইব ।” বিনয় বলিলেন,- “সৰ্ব্বনাশ!” বড়ালিনী থর থর করিয়া কাপিতে লাগিলেন । পুনরায় অন্ধকার ঘর হইতে শব্দ আসিল,-“বল বল, সত্য কথা বল, না বলিলে তোকে খাইয়া ফেলিব।” বিনয় বলিলেন,-“সৰ্ব্বনাশ খাদা ভূত!” বড়ালিনী তথাপি ইতস্ততঃ করিতে লাগিলেন। বিনয় পুনরায় সঙ্কেত করিলেন। মাঝের দ্বার অল্প খুলিয়া খাদা ভূত আসিয়া সেই স্থানে দণ্ডায়মান হইল। বড়ািলনীর কথা দূরে থাকুক, এখন তাহার সেই ত্রিভঙ্গ-মুরারি বিকট রূপ দেখিয়া সুবালারও মুখ শুষ্ক হইয়া গেল। কঁাপিতে কঁাপিতে অপরিস্ফুট স্বরে বড়ািলনী বলিলেন– “উহাকে সরিয়া যাইতে বল। ঐ দেখ, হা করিতেছে। চপলার মত আমাকে আস্তো গিলিয়া ফেলিবে। আমি সকল কথা বলিতেছি। তাহার পর আমার কপালে যাহা থাকে, তাহা হইবে।” খাদা ভূতকে সরিয়া যাইবার নিমিত্ত বিনয় আদেশ করিলেন। দ্বারের নিকট হইতে খাদা ভূত সরিয়া গেল। বিনয় পুনরায় দ্বার বন্ধ করিয়া দিলেন। সুবালা বলিলেন, — “বড়াল-দিদি! শৈশবকাল হইতে তোমরা আমাকে প্রতিপালন করিয়াছ; প্ৰাণ থাকিতে তোমাদের কোন অনিষ্ট হইতে দিব না। নিৰ্ভয়ে সমস্ত কথা বল। তোমার কোন उठश नाई।" दgालनी ठखद्ध कब्रिएलन,- ‘नूवाला निनि 1 उठ ভঙ্গ মন্দ বল, যাহা আমরা করিয়াছি, সে কেবল তোমার মঙ্গলের জন্যই করিয়াছি। w was পূৰ্ব্বেই তাঁহার মৃত্যু হইবে। যাহা কিছু রয়াছি, তাহার আজ্ঞাক্ৰমেই করিয়াছি। তিনি এই কাজ করিবার নিমিত্ত কিরূপ কাত রাধ করিয়াছিলেন, তাহা যদি দেখিতে, তাহা হইলে তুমি আমাদিগকে দােষ দিত্বে গ্রুঞ্জ আমি লেখাপড়া জানি না। নিজের কাছে বসাইয়া তাহার মত স্বাক্ষর করিতে শিখিবার প্রতিদিন তাঁহার কাছে বসিয়া শত শত বার তাহার নাম আমাকে লিখিতে হইত। তাহার পর সেই কাগজ তাহার সাক্ষাতে আমি পোড়াইয়া ফেলিতাম। উইলের সময় তিনি জীবিত ছিলেন না। রায়-গৃহিণী সাজিয়া আমি এই খাটের উপর শয়ন করিয়া ছিলাম। উইলে আমি সহি করিয়াছিলাম। যাহা করিয়াছি, তাহার আজ্ঞায় করিয়াছি, আর সুবালা দিদি। তোমার ভালর জন্যই করিয়াছি। সকল কথা বলিয়া ফেলিলাম। এখন আমাদিগকে রাখিতে হয় রাখ; মারিতে হয় মার; যাহা ইচ্ছা হয়, তাহা কর।” দিদিমণির জন্য সুবালা কাঁদিতে লাগিলেন। কিছুক্ষণ পরে বিনয় বলিলেন, — “কাঁদিলে আর কি হইবে। বড়ালমহাশয়কে এখন ডাকিতে পাঠাও। এতক্ষণে তিনি বোধ হয় উঠিয়া থাকিবেন । তিনি আসিলে প্ৰথমে তাহাকে উইলের কথা জিজ্ঞাসা করিতে হইবে। তাহার পর খাদা ভূতের কথা।” চক্ষু মুছিতে মুছিতে সুবালা বাহিরে গিয়া বড়ালমহাশয়কে ডাকিতে পাঠাইলেন। বড়ালমহাশয় আসিয়া উপস্থিত হইলেন। বিনয় বলিলেন,- “আস্তে আস্তে কথা কহিবেন। ঐ অন্ধকার ঘরে একজন আছে সে যেন আমাদের কথা শুনিতে না পায়। আমরা সকল কথা শুনিয়াছি। আর গোপন করা বৃথা। সুবালার নামে যে উইল হইয়াছে, তাহা প্রকৃত নহে।” ዓo8 afraig -iibg gis so! - www.amarboi.comf'37*******