পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৭৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কান পাতিয়া থাকেন। অন্ধের কানে সেই সপ্ত সাপ্ত শব্দ প্রবেশ করিল। হুলস্থূল পড়িয়া গেল। অন্ধ বলিলেন, — “আমার সর্বনাশ হইল! আমি পথের ভিখারী হইলাম! তুমি দেখিতেছি, আজ ডাল রাধিয়াছ, তুমি আমার সর্বনাশ করিলে। ডাল রান্না! এত খরচ করিলে কুবেবের ধনাগারও শূন্য হইয়া যায়।” শঙ্কিত হইয়া স্ত্রী বলিলেন, — ‘না, গো, না! আমি ডাল রন্ধন করি নাই। ভাত শুষ্ক হইয়া গিয়াছিল। একটু ফেন মাখিয়া খাইতেছি। সেইজন্য সপৃ সপৃ শব্দ হইতেছে।” সন্তুষ্ট হইয়া অন্ধ বলিলেন,- “বেশ! বেশী।” তবেই দেখ সুবালা! ঘরে ভাল দ্রব্য রন্ধন হইলেও স্ত্রী তাঁহাকে দিতে সাহস করেন না। একটু আলু ভাতে, কি একটু কাঁচকলা ভাতে দিয়া প্রতিদিন তাঁহাকে ভাত দিতে হয়। প্রচুর পরিমাণে ডাল থাকিলেও ভাত মাখিবার নিমিত্ত তাঁহাকে একটু ফেন দিতে হয়।” সুবালা বলিলেন,- “কি অধৰ্ম্মের ভোগ!” বিনয় উত্তর করিলেন,- “হাঁ সুবালা! পৃথিবীর রহস্য কিছু বুঝিতে পারা যায় না। তবে এইমাত্র বলিতে পারা যায় যে, কৰ্ম্মের ফল নিশ্চয়ই ভোগ করিতে হয়। আর একটি আশ্চৰ্য্য বিষয় এই যে পুণ্ডৱীক ও তাঁহার পত্নীর মত লোকেরা নিজের দোষ দেখিতে পায় না। তাহারা মনে করে যে, আমরা যাহা করিতেছি, ইহা ধৰ্ম্মসঙ্গত ভাল কাজ। পুণ্ডরীক-পত্নী মনে করিতেন। যে,- “আমি বেটার মা, পুত্রবধূগণ আমার বঁাদী। দিবারাত্রি তাহাদিগকে তাড়না করিব না। কেন? আমি বেটার মা, বেহাইকে দুহিয়া লইব না কেন? বেহাই দিবে না কেন? যত দোষ 3) সুবালা বলিলেন,- “মৃত্যুকালে মাতা যাহা যাহা বলিয়াছিলেন, তাহার অর্থ এখন আমি অনেকটা বুঝিতে পারিলাম।” छ्या उ६J! শাকচুনির হাড় বিনয় পুনরায় জিজ্ঞাসা করিলেন, — “তবে বিজয়বাবুকে নিতান্তই তুমি পত্র লিখিবো?” সুবালা উত্তর করিলেন, — “নিশ্চয় কল্য আমি তাঁহাকে পত্র লিখিব; কিন্তু একথা এক্ষণে তুমি কাহারও নিকট প্রকাশ করিও না। কাকামহাশয়, পিসীমা অথবা বড়ালমহাশয় একথা শুনিলে আমাকে পাগল মনে করিবেন, আর বড়ই গোলযোগ করবেন। সেজন্য কাকামহাশয় এ স্থানে না আসিতে আসিতে বিজয়বাবুকে আমি পত্ৰ লিখিব।” বিনয় সে স্থান হইতে প্ৰস্থান করিলেন; সুবালাও নানা কথা ভাবিতে ভাবিতে ধীরে ধীরে গৃহে প্রত্যাগমন করিলেন। পরদিন প্ৰাতঃকালে সুবালা বিজয়বাবুকে পত্ৰ লিখিলেন, — “আপনার জ্যেষ্ঠভ্ৰাতা কিরূপ পাপের পরিণাম। sNAls viði (SS BS! ro www.amarboi.com ro ఇ