পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৭৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পচিয়া যাইবে না, এই উদ্দেশ্য তাহার উপর ইট বিছাইয়া দিলাম, তাহার উপর মাটি দিয়া বাগানের ভূমির সহিত সমান করিয়া দিলাম। চারিদিকে খনন করিয়া ও গাছ কাটিয়া যখন আমি সোনার ইটের অন্বেষণ করিতেছিলাম, তখন একদিন কৃপের কথা আমার স্মরণ হইল। আমি ভাবিলাম যে, কৃপের মুখ গোপনে খুলিয়া রাজাবাবু হয়তো তাহার ভিতর সোনার ইট লুক্কায়িত রাখিয়াছেন। কৃপের ভিতর সোনার ইট রাখিতে হইলে বাক্সর ভিতর বন্ধ করিয়া রাখিতে হইবে। কৃপের ভিতর ঘটি পড়িয়া গেলে বঁড়শীর ন্যায় বড় বড় লৌহ-কণ্টকের সহায়তায় লোক উপর হইতে উত্তোলন করে। দীর্ঘরজ্জ্বসংযুক্ত একগুচ্ছ সেইরূপ লৌহ-কণ্টক আমি সংগ্ৰহ করিলাম। একদিন রাত্রি দশটায় সময় চুপি চুপি আসিয়া আমি কূপের মুখ হইতে মৃত্তিকা, ইট ও তক্তা সরাইয়া ফেলিলাম। তাহার পর রজ্জ্বর একদিক ধরিয়া বঁড়শীগুলি জলে নামাইয়া দিলাম। কাঁটাগুলি কৃপের নিম্নে যখন মাটি স্পর্শ করিল, তখন তাহাদিগকে চারিদিকে ঘুরাইয়া-ফিরাইয়া দেখিতে লাগিলাম যে, কৃপের ভিতর বাক্স অথবা অন্য কোন দ্রব্য পড়িয়া আছে কি না। রজ্জ্ব ধরিয়া নাড়িতেচাড়িতেছি, এমন সময় আমার দক্ষিণ দিকে একবার চাহিয়া দেখিলাম। সৰ্ব্বনাশ! দেখিলাম অতি অল্পদূরে খাদা ভূত দাঁড়াইয়া আছে। বলা বাহুল্য যে, আমি ঘোরতর ভীত হইলাম। দড়িটি আমার হাত হইতে জ্বলিত হইয়া কূপের ভিতর পতিত হইল। কৃপের মুখ সেইরূপ খোলা অবস্থায় রাখিয়া আমি রুদ্ধশ্বাসে পলায়ন করিলাম। তাহার পর অতি প্ৰত্যুষে আসিয়া কৃপের মুখ। যেমন বন্ধ ছিল, সেইরূপ বন্ধ করিয়া । পাছে কেহ জানিতে পারে যে, এ স্থানের মৃত্তিকা কে খনন করিয়াছিল, সেজন্য তাহারােষ্ট্রগুঞ্জ শুষ্ক পত্ৰাদি ছাড়াইয়া দিলাম। দিনের বেলায় পাগলী আসিয়া বাগানে দি এবং চািপলা দোতলার জানালার ধারে দাড়াইয়া তাহাকে দেখা দিত, - একথা । কিন্তু গতকল্য খাদা ভূত যখন জানালার গরীদের কথা বলিল, তখন সৃষষ্ঠ মনে সন্দেহ হইল।” সুবালা উত্তর করিলেন,- “হা, ও মনে একটা সন্দেহ জানিয়াছিল!” বড়ালমহাশয় বলিলেন, — “তাহার পর ঘরে গিয়া বড়ালিনী যখন শাকচুন্নিৱ কথা উত্থাপন করিলেন, তখন আমার আরও সন্দেহ হইল। আমি ভাবিলাম যে, ত্ৰিলোচন ও শঙ্করা যে একজোড়া শাকচুন্নি দেখিয়াছিল ও কল্পনাবলে তাহাদের অদ্ভুত আকৃতির পরিচয় দিয়াদিল এবং যাহাদের ভয়ে গ্রামবাসিগণ কিছুদিন সাতিশয় ভীত হইয়াছিল, সে জোড়া শাকচুন্নি পাগলী ও চপলা ব্যতীত আর কেহ নাহে।” সুবালা বলিলেন, — “আমার মনে সন্দেহ হইয়াছিল যে, খাদা ভূতের সম্মুখ দিকে যে মা গো” শব্দ হইয়াছিল, সে শব্দ পাগলী করিয়াছিল। কারণ, তাহার অল্পক্ষণ পরেই পাগলী ভয় পাইয়া বাড়ী গিয়া অজ্ঞান হইয়া পড়িয়াছিল।” বিনয় জিজ্ঞাসা করিলেন,- “পাগলী একটা; অন্য শাকচুন্নিটা কে?” বড়ালমহাশয় উত্তর করিলেন,- “অন্য শাকচুন্নি আমার বোধ হয়। চপলা।” সুবালা বিস্মিত হইয়া বলিলেন— “চপলা! কি আশ্চৰ্য্য!” বড়ালমহাশয় উত্তর করিলেন, — “নিশ্চয় বলিতে পারি না, কিন্তু আমার বােধ হয় যে, সে চপলা। আমার অনুমান ঠিক কি না, এখনই জানিতে পারা যাইবে। তাহার মা বলিয়াছিল। যে,- ‘পাগলী কেবল দিনের বেলা বাগানে আসিয়া দাড়াইত। দূর হইতে ভগিনীকে দেখিয়া সে চলিয়া যাইত।” কিন্তু আমার বোধ হয়, সে রাত্রিকালেও চপলার সহিত সাক্ষাৎ করিতে AX পাপের পরিণাম। sNAls viði (SS BS! ro www.amarboi.com ro ԳԾ@