পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৮১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভয়ে আমি সেই স্থানে গিয়া উপস্থিত হইলাম; দেখিলাম যে, সন্ন্যাসী দুইজন লোহার সিন্দুকটি কোনরূপে ভাঙ্গিয়াছে অথবা খুলিয়াছে। তাহার ভিতর টাকাকড়ি, গহনা-পত্ৰ যাহা কিছু ছিল সে সমুদয় লইয়া গিয়াছে। চারিদিকে কাগজ-পত্র ছাড়াছড়ি হইয়া আছে। দুই চারিখানি কাগজে ষ্ট্যাম্প দেখিয়া বুঝিলাম যে, সে সব দলিলপত্র। তাঁহাতে আমি হাত দিলাম না। অন্য একতাড়া কাগজ তুলিয়া দেখিলাম যে, সে কোম্পানীর কাগজ, তাহা আমি ফেলিয়া দিলাম। আর একভাগ কাগজ লম্বোেদর! সেদিন তোমাদিগকে আমি বলিয়াছিলাম যে, আমি ভাগ্যবান পুরুষ। আজ তাহার প্রত্যক্ষ প্রমাণ দেখ। কাগজ তাড়াটি একটু খুলিয়া দেখিলাম যে, সে সব নোেট ! তাহার পর দৌড়িয়া বেলা নয়টার সময় বাড়ীতে পৌঁছিয়া, তবে হাঁপ ছাড়িলাম। লম্বোদর বলিলেন,- “এ সমুদয় তোমার আজগুবি গল্প। এ অনেক দিনের কথা, কিন্তু আমরা সেই সময় শুনিয়াছিলাম যে, সরকেলমহাশয়ের বাড়ী যথার্থই চুরি হইয়াছিল এবং সে চোরগণ তোমার অপরিচিত লোক ছিল না ।” ডমরুধর উত্তর করিলেন,- “সমুদয় মিথ্যাকথা, হিংসায় লোকে কি না বলে।” সপ্তম পরিচ্ছেদ (Nరీ ডমরুধর বলিতে লাগিলেন,— বাড়ীতে অর্সিয়া নােটগুলি গণিয়া দেখিলাম যে, দুইশত দশ টাকার নোট, মোট দুই হাজার টাকা অষ্ট্রর ঋণের প্রয়োজন কি? সরিকেলমহাশয়কে আমি এক পত্র লিখিলাম যে,- “সেদিন আঁটপনার বাড়ীতে গিয়া ভূতের হাতে প্ৰাণ হারাইতে বসিয়াছিলাম। আপনার টাকায় আমার প্রয়োজন নাই।” তাহার পর সেই টাকা দিয়া আমি সমুদয় আবাদটি উঠিত করিলাম। এখন সেই স্থানে সোনা ফলিতেছে। তাহার লাভ হইতে ক্ৰমে ক্ৰমে আমি আরও অনেক আবাদ ক্রয় করিলাম । আমি ছাই-মুঠি ধরিলে সোনা-মুঠা হইয়া যায়। সে অঞ্চলে এখন অনেক লোকের আবাদ হইয়াছে। বহুদূর পর্য্যন্ত এখন লোকের বাস হইয়াছে। নদীতে খেয়া বসিয়াছে, মাঝে মাঝে হাট বসিয়াছে। গ্ৰীষ্মকালে কোন কোন স্থানে বরফের কুলফি বিক্রয় হয়। শীতকালে হিন্দুস্থানীরা ফুলুরি ফেরি করিয়া বেড়ায়। যে সঁওতালগণ মশা মারিতে আমার সহায়তা করিয়াছিল, তাহাদিগকে আমি জমি দিয়াছি, তাহারা আমার প্রজা হইয়াছে। তাহাদিগের দেখাদেখি আরও অনেক সাঁওতাল নিকটস্থ আবাদসমূহে বাস করিয়াছে। এখন আমার কিরূপ সম্পত্তি হইয়াছে, কিরূপ জনসাধারণের নিকট আমি গণ্যমান্য হইয়াছি, তাহা তোমরা অবগত আছ। শ্বশুর। প্ৰহাদবাবু সম্বন্ধে আমি যে ভবিষ্যদ্বাণী বলিয়ছিলাম, তাহা পূর্ণ হইয়াছে। মালতীকে আপনা হইতে তিনি পঠাইয়া দিয়াছিলেন। তাহার পর তিনি নিজে, তাহার পুত্ৰগণ, তাহার ভগিনী কতবার যে আমার বাড়ীতে আসিয়াছিলেন, তাহার সংখ্যা নাই। এখন মালতী জীবিত নাই। এখন অবশ্য তাঁহাদের সহিত আমার কোন সম্বন্ধ নাই। শুনিয়াছি যে, এখন সংসারে তাহদের আর কেহ নাই। brNO fi:Ilă zi, o ga se - www.amarboi conf**