পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৮৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কানে প্ৰবেশ করিল। আমরা সেই স্থানে গিয়া জিজ্ঞাসা করিলাম,- “কি হইয়াছে?” কালিকা উত্তর করিলেন যে,- “আমার সন্দেশের হাঁড়ী কে লইয়া গিয়াছে।” আমি বলিলাম,- “গোটা কত সন্দেশের জন্য এত কান্না কেন? ঢাকমহাশয় তোমাকে অনেক সন্দেশ কিনিয়া দিবেন।” পঞ্চম পরিচ্ছেদ উডুখ খু হাঁড়ী। ক্রমে সকল কথা প্ৰকাশ পাইল। পিতার অগোচরে কালিকা ঘর হইতে পলায়ন করিবেন, স্বামীর সহিত এইরূপ পরামর্শ করিয়াছিলেন। বুধবার সন্ধ্যাবেলা কেশব ঘোড়ার গাড়ীতে কাটিগঙ্গার ঘাটের নিকট লুক্কায়িত থাকিবেন। একটু অন্ধকার হইলে কালিকা ভুলুকে লইয়া সেই স্থানে গমন করিবেন। তাহার পর ঘোড়ার গাড়ীতে রেল-স্টেশন যাইবেন। সে স্থান হইতে রেল গাড়ীতে কেশব স্ত্রী-পুত্ৰ লইয়া আপনার গ্রামে গমন করিবেন? বাক্স লইয়া গেলে পাছে কেহ জানিতে পারে, সেজন্য কালিকা আপনার লি হাঁড়ীতে রাখিয়া তাহার উপর সন্দেশ চাপা দিয়া বনে রাখিয়াছিলেন। যাইবান্ত সময় লইয়া যাইবেন, এইরূপ মানস করিয়াছিলেন । SNర్ যখন এইসব কথা প্রকাশ হইল, তখনুৰ্ব্বক্লাটা হুলস্থল পড়িয়া গেল। কে সে হাঁড়ী লইয়া গেল, তাহার অনুসন্ধান হইতে লাগিল ষ্ট্ৰেইজন গ্রামের লোক বলিল যে, সন্ধ্যার সময় তাহারা জামগাছের নিকট দিয়া যাইতেছিল। প্ৰেম চাকি গরুর গাড়ী লইয়া সেই পথ দিয়া আসিতেছিল। কেষ্ট তাহাকে একটা হাঁড়ী দিল। ইহা তাহারা দেখিয়াছে। তৎক্ষণাৎ একজন লোক প্রেম চাকির বাড়ীতে দীেড়িল। আর একজন লোক কেষ্টার বাড়ীতে গেল। আমার চাকর গজরাজকে আমি গঙ্গার ঘাটে পাঠাইলাম। আমি তাহাকে আদেশ করিলাম যে,- “সেস্থানে যদি তুমি প্ৰেমা চাকিকে দেখিতে পাও, তাহা হইলে গাড়ীশুদ্ধ তাহাকে ধরিয়া আনিবে।” গজরাজ তাঁহাই করিল। প্রেম চাকির গাড়ী আমরা অনুসন্ধান করিয়া দেখিলাম। হাঁড়ী। পাইলাম না। কিন্তু যখন সে শুনিল যে, হাঁড়ীতে কেবল সন্দেশ ছিল না, তাহার ভিতর অনেক গহনা ছিল, তখন সে বলিল যে, যেস্থানে সে গাড়ী রাখিয়াছিল, তাহার নিম্নে ভূমিতে বুড়ি চাপা। সেই হাঁড়ী আছে। তখন আমরা সকলেই গঙ্গার ঘাটের দিকে দীেড়িলাম। এদিকে সন্ধ্যার সময় কেশব রেল-ষ্টেশন হইতে ঘোড়ার গাড়ী করিয়া কাটিগঙ্গার ঘাটে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। একটু দূরে ঘোড়ার গাড়ী রাখিয়া তিনি ঘাটের নিকট গমন করিলেন। তখনও সে স্থানে কালিকা ও ভুলু আসে নাই। কিন্তু দেখিলেন যে, একটা বুড়ি উপুড় হইয়া রহিয়াছে। বুড়িটি তুলিয়া দেখিলেন যে, নিম্নে একটি হাঁড়ী রহিয়াছে। হাঁড়ীর ভিতর সন্দেশ। কেশব মনে করিলেন যে, গাড়ীতে ভুলু খাইবে, সেই জন্য কালিকা এই সন্দেশগুলি কাহারও হাতে গোপনে পাঠাইয়া দিয়াছেন। হাঁড়ীটা কোলে লইয়া তিনি কালিকা ও Ե Գ8 দুনিয়ার পাঠক এক হও! ~ www.amarboi.comৰ্ম্মিসঙ্গি"********