পাতা:দত্তকৌস্তুভম্.pdf/৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R [ ‘প্রকাশকের নিবেদন', সাক্ষাৎ শ্ৰীগৌরশক্তির কৃপাবতার-ব্যতীত শ্ৰীকৃষ্ণতত্ত্ববিদ-গুরুপদাশ্ৰয়ের লীলা করিবার পূর্বেই অখিলশাস্ত্রের সারগ্রাহিতায় এইরূপ অতিমৰ্ত্ত্য অধিকার কখনই কেবল পাণ্ডিত্য ও মনীষার দ্বারা লভ্য হইতে পারে না। একটা বিশেষ-লীলার দ্বারাও শ্ৰীশ্ৰীজগন্নাথদেব এই সময়ই ইহা জ্ঞাপনপূর্বক তদানীন্তন ও ভাবি বৈষ্ণব-জগতের প্রতি অসামান্য করুণা প্রদর্শন করিয়াছেন। এই সময় শ্ৰীভক্তিবিনোদ ‘শ্ৰীজগন্নাথ-বল্লভ' উস্তানে ‘শ্ৰীভাগবত-সংসৎ’-নামে একটি বৈষ্ণবসভা স্থাপন করেন। মহান্ত শ্ৰীনারায়ণ-দাস, শ্ৰীমােহনদাস, উত্তর-পার্শ্বমঠের মহান্তজী, শ্ৰীহরিহরদাস প্রভৃতি পণ্ডিতগণ অনেকুেই সেই সভায় যোগদান করিতেন। তখন 'হাতী আখাড়া’র বাবাজী ‘কান্থাধারী’ শ্ৰী রঘুনাথ দাস মহমুশয় শ্ৰীল ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত উক্ত সভায় অনেককেই যাইতে নিষেধ কঁরিতে লাগিলেন। * কিন্তু, ভুল্পদিনের মধ্যেই শ্ৰীজগন্নাথদেবী উক্ত বাবাজী মহাশয়ের হৃদয়ে শ্ৰীল ভক্তিবিনোদোৰু নিত্যসিদ্ধ অপ্রাকৃত সহজ-বৈষ্ণবত্বের মহিমা স্মৃষ্টি করাইলেন। তখনী, বাবাজী মহাশয় শ্ৰীল ঠাকুর ভক্তিবিনোদের সহিত বিশেষ হৃদ্যতা করিয়া বুলেন যে,-বাহাে দীক্ষিতের বেষ দেখিতে না পাইয়া তিনি ঠাকুরকে অনুজ্ঞা করিয়াছিলেন ; এজন্য র্তাহার অপরাধ হইয়াছে। ঠাকুর রূপাপূর্বক সেই অপরাধের ক্ষমা না করিলে শ্ৰীশ্ৰীজগন্নাথদেব তাঁহার প্রতি প্রসন্ন হইবেন না। তিনি এখন ঠাকুরের মহিমা বুঝিতে পারিয়াছেন।n ‘কান্থাধী” শ্ৰীরঘুনাথ-দাস মহাশয়ের দ্বারা শ্ৰীশ্ৰীজগন্নাথদেবের এই লীলার মধ্যে একদিকে যেরূপ শ্ৰীল ঠাকুর ভক্তিবিনোঁদের নিত্যসিদ্ধ ভগবৎ শক্তিত্বের পরিচয় পাওয়া যায় ; অপরদিকে তাহার রচিত গ্ৰন্থ পাঠ করিলেও সুধীগণের এই সত্যেরই সুস্পষ্ট উপলব্ধি হয়।

  • শ্ৰীল ঠাকুরের ‘আত্মচরিত’, ১৪১ পৃষ্ঠা

Digitized at BRCin dia, Corn