পাতা:দত্তকৌস্তুভম্.pdf/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

تخمیNیم Ն o শ্ৰীল-ভক্তিবিনোদ-কৃত লয়সাযুজ্যরূপ জীবন্মুক্তিই জ্ঞান। তাহা যথার্থ নহে, কেননা, শাস্ত্ৰে ভগবদান্তই প্রয়োজনরূপে উপদিষ্ট। লয়সাযুজ্যে ভক্তি সম্ভব হয় না। অতএব চিৎ, অচিৎ ও ঈশ্বরের পরস্পর সম্বন্ধ জ্ঞানই অদ্বয়ংজ্ঞান বলিয়া সিদ্ধ হয় । সাংখ্যমতে-চতুবিংশতি তত্ত্ব প্রকৃতির অন্তর্গত ; তন্মধ্যে পঞ্চ মহাভূত, পঞ্চ তন্মাত্র ও দশ ইন্দ্ৰিয়-স্থল ; মন, বুদ্ধি ও অহঙ্কারচিত্তের সূক্ষ্ম ও লিঙ্গ-সংজ্ঞা । জীবাত্মা পঞ্চবিংশ তত্ত্ব, পরমাত্মা ষড়বিংশ তত্ত্ব । এই সকল তত্ত্বের সম্যক আলোচনা দ্বারা নিঃসংশয়ে সম্বন্ধ জ্ঞানই সিদ্ধ হয় । শ্ৰীধর স্বামিপাদ বলিয়াছেন—“দশমে (স্বন্ধে ) ষড়বিংশ তত্ত্ব প্রকাশিত হইয়াছেন। ষড়বিংশ ও ভাগবতের দশম তত্ত্ব শ্ৰীহরি পঞ্চবিংশ তত্ত্ব আমাকে চতুবিংশতি (প্রকৃতি বা মায়া ) হইতে পৃথক ( মুক্ত) করুন।” গোপালোপনিষদের বাক্যে ও বিষ্ণুপুরাণে প্ৰহলাদচরিতে “আমি ব্ৰহ্ম’ এইরূপ ধ্যানকেও সাধনাঙ্গসকলের মধ্যে যে গণনা করা হইয়াছে, তাহা দান্তভাবের অন্তর্গত স্বাৰ্থশূন্যতামাত্র, কিন্তু লয়সাযুজ্য মহে। যদিও নিঃসন্দেহে দান্তপরায়ণ প্ৰহলাদ প্রভৃতি জীবের পক্ষে উহা দোষজনক হয় না, তথাপি সাধারণের পক্ষে তাহা বিধি নহে। ( টীকা-অনুবাদ-৫২-৫৩ ) মুলা-অনুবাদ-৫৪ । ( যথাক্রমে ) নব ও পঞ্চ বিভাগবিশিষ্ট কৰ্ম্ম ও জ্ঞানের সারভুত অঙ্গসকল পুরুষাৰ্থসাধনে প্রযুক্তি হইলে তৎসমস্ত ভক্তিসংজ্ঞা প্ৰাপ্ত হয় । ". টীকা-অনুবা দ—৫৪ । এক্ষণে ভক্তিপ্রকরণ আরম্ভ করিতেছেন। শ্ৰীভগবানের শ্রবণ, কীৰ্ত্তন, স্মরণ, পাদসেবন, অৰ্চন, বন্দন, দাস্তম্ভ, সখ্য, ও আত্মনিবেদন-ইহারা স্কুল ও লিঙ্গ উভয়নিষ্ঠ সাধনভক্তিরূপ ভগবৎসম্বন্ধীয় কর্মের নয়টা অঙ্গ। শ্ৰীগুরুপাদাশ্ৰয়, সাম্প্রদায়িক সংস্কার, সম্প্রদায়-চিহ্ন ধারণ, ভগবানের নিৰ্ম্মাল্য-ভক্ষণ, ভগবদ ব্ৰতাদি অৰ্চনাঙ্গের Digitized at BRCIndia.com ཉ་