পাতা:দত্তকৌস্তুভম্.pdf/৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দত্তকৌস্তুভম। তরঙ্গরঙ্গিণী গ্ৰীতিশ্চিদ্বিলাসস্বরূপিণী।” আশ্রয়ে ভগবত্তত্ত্বে রসবিস্তারিণী সতী ॥ ৭১ ৷৷ অস্ত্ৰীয়-৭২১ । সতী (নিত্য বা বিশুদ্ধ ) প্রীতিঃ (প্রেম) চিদ্বিলাসস্বরূপিণী (স্বরূপে চিল্লীলাময়ী), তরঙ্গ রঙ্গিণী ( ভাবতরঙ্গে বৈচিত্ৰ্যময়ী বা নৃত্যুশীলা), আশ্রয়ে (আশ্রয়স্বরূপ ) ভগবত্তত্ত্বে (ভূগবানে) রসবিস্তারিণী ( রসের বিস্তারকারিণী ) । মুলা-অনুবাদ-৭০। রতি হইতে মহাভাব পৰ্য্যন্ত প্রীতির মুখ্য স্বরূপলক্ষণ ; তাহাই কৰ্ত্তা ও কৰ্ম্মের বিভেদে সাম্বন্ধিক হয় । টীকা-অনুবাদ-৭০ । “রত্যাদি ভাবপৰ্য্যন্তং”—এই শ্লোকে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থায় প্রীতির স্বরূপলক্ষণ বলিতেছেন। ক্রমানুসারে প্ৰেমস্নেহ-মান-প্রণয়-রাগ-অনুরাগ-ভাব-মহাভাব-সীমাবিশিষ্ট, সেই রীতি চিত্তকে উল্লাসিত করে, মমতাযুক্ত করে, বিশ্বাসযুক্ত করে, “ প্রেমের আধিক্যে - অভিমান করায়, দ্রবীভূত করে, নিজ বিষয়ের প্রতি অত্যভিলাষযুক্ত করে, প্রতিক্ষণেই নিজ-বিষয়কে নব নব ভাবে ভাবিত করে, অসমােদ্ধ চমৎকারদ্বারা উন্মত্ত করে-এইরূপ শ্ৰীজীবগোস্বামিপাদ বলিয়াছেন। এই পৰ্য্যন্ত স্বরূপলক্ষণ। কৰ্ত্তা ও কৰ্ম্মের বিভেদে প্রীতির, সাম্বন্ধিক লক্ষণ আবার দুইপ্ৰকার । কৰ্ত্তার সম্বন্ধে-শান্তি, দাস্ত, সখ্য, বাৎসল্য ও মধুৱভেদে রস পঞ্চপ্রকার। * শান্তরসে শুধু রতি ; দান্তে রতি ও প্রেম ; সখ্যে রতি, প্রেমু ও প্রণয় ; বাৎসল্যে রতি-প্রেম-প্ৰণয়-স্নেহপর্যন্ত প্রীতি, আর শৃঙ্গারে (মধুরে) মহাভাবপৰ্যন্ত প্ৰীতি দেখা যায়। আবার, কৰ্ম্ম সম্বন্ধে রস দুইপ্রকারী-মাধুৰ্য্যাত্মক ও ঐশ্বৰ্য্যাত্মক। তাহার বিচার আশ্ৰয়বিচারে দ্রষ্টব্য।