পাতা:দত্তা - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

selestrzsi 2 faszere পোড়া তুবড়ির খোলাটার ন্যায় তুচ্ছ বস্তুর মত এই ব্ৰহ্ম-মন্দির হইতে ও পাছে সমারোহ-শেষে লোকের দৃষ্টি অবজ্ঞায় অন্যত্র সরিয়া যায়, এই আশঙ্কায় বিলাসবিহারী উৎসবের জেরটা যেন কিছুতেই আর নিকাশ করিতে চাহিতেছিল না । কিন্তু যাহারা নিমন্ত্রণ লইয়া আসিয়াছিলেন, তঁহাদের বাড়িঘর আছে, কাজকৰ্ম্ম আছে, পরের খরচে কেবল আনন্দে মাক্তিয়া থাকিলেই চলে না, সুতরাং শেষ একদিন তঁহাদের করিতেই ঠাইল । সেদিন বৃদ্ধ রাসবিহারী ছোট একটি বক্তৃতা করিয়া শেষের দিকে বলিলেন,--যাহার অসীম করুণায় আমরা পৌত্তলিকতার ঘোর অন্ধকার হইতে আলোকে আসিতে পারিয়াছি, সেই একমেবাদ্বিতীয়ষ্ণু নিরাকার পুত্রব্রহ্মের পাদপদ্মে এই মন্দির যাহারা উৎসর্গ করিয়াছেন, তাহাদের কল্যাণ হৌক । আমি সর্বান্তঃকরণে প্রার্থনা করি যে, অচির-ভবিষ্যতে সেই দুটি নিৰ্ম্মল নবীন-জীবন চিরদিনের জন্য সম্মিলিত হইবে,-সেই শুভ-মুহূৰ্ত্ত দেখিতে ভগবান যেন আমাদের জীবিত রাখেন। এই বলিয়া সেই দু’টি নবীন-জীবনের প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া কহিলেন, মা বিজয়া, বিলাস, তোমরা এন্থের প্রণাম কর। আপনারাও আমার সন্তানদের সুন্টু দ্য করুনৰ বজয়া ও বিলাস-প্লাশ-পাশি মাটীতে মাথা ঠেকাইয়া প্ৰবীণ ব্ৰাহ্ম SS