পাতা:দত্তা - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দত্তা অধিষ্ঠিত রাখিয়া, দ্রুতবেগে তাহার অনুসরণ করিয়া নীচে নামিয়া গেলেন। নরেন্দ্রকে পাশে৯একটা ঘরে বসাইয়া তিনি ভূমিকাচ্ছলে কহিলেনঃ পাঁচজনের সামনে তোয়াকে বাবুই বলি আর যাই বলি, বাবা, এটা কিন্তু ভুলতে পারিনে, তুমি আমাদের সেই জগদীশের ছেলে। বনমালী, জগদীশ দুজনেই স্বৰ্গীয় হয়েছেন, শুধু আমিই পড়ে আছি, কিন্তু আমরা তিনজনে যে কি ছিলাম, সে আভাস তোমাকে ত সেইদিনই দিয়েছিলাম,কিন্তু খুলে ." বলতে পারিনে নরেন,-আমার বুক যেন ফেটে যেতে চায়। বস্তুতঃ, মাইক্রস্কোপিটার দাম দিতে গিয়া তিনি অনেক কথাই সেদিন কহিয়াছিলেন। নরেন চুপ করিয়া রহিল। হঠাৎ রাসবিহারীর সে-দিনের কথাটাই যেন মনে পড়ায় বলিয়া উঠিলেন, ওই দরকারী যন্ত্রটা বিক্ৰী করায় আমি সত্যই তোমার উপর "; বড় বিরক্ত হয়েছিলাম নরেন। একটু হাস্য করিয়া বলিলেন, কিন্তু দেখ ; বাবা, এই বিরক্ত शब्रछिलांभ, कथा बद्ध अछि । ‘श्नि' दन्ड পারলেই সাংসারিক হিসাবে হয় ভাল-বলতে শুনতে সব দিকেই নিরাপদ,-কিন্তু যাক। বলিয়া একটা নিঃশ্বাস ফেলিয়া অনেকটা যেন আত্মগত ভাবেই পুনরায় কহিতে লাগিলেন, আমার দ্বারা যা অসাধ্য, তা নিয়ে দুঃখ করা বৃথা । কত লোকের অপ্রিয় হই, কত লোকে গাল দেয়, বন্ধুরা বলেন, “বেশ, মিথ্যা বলতে যখন কোন কালেই পামূলে 'না, রাসবিহারী, তখন, তা’ বলতেও আমরা বলিনে, কিন্তু, একটু ঘুরিয়ে বললেই যদি গালমন্দ হ’তে নিস্তার পাওয়া যায়, তাই কেন বল না।” আমি শুনে শুধু অবাক হয়ে ভাবি বাবা, যা ঘটেনি, তা” vV9